তালেবানের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিক ও সহযোগী আফগানদের ফিরিয়ে নিয়ে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই তাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন থেকে জানানো হয়েছে।
পেন্টাগন বলছে, বেঁধে দেয়া সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে তারা আপাতত ভাবছে না। তবে আসন্ন জি-৭ ভার্চুয়াল সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি সময় বাড়ানোর বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে তালেবানের তরফ থেকে বিবিসিকে বলা হয়েছে, প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার সময়সীমা কোনোভাবে বাড়ানো হলে তা হবে উভয়পক্ষের চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, গত ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৮ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে তারা সরিয়ে নিয়েছে। যার মধ্যে সোমবারই (২৩ আগস্ট) ১০ হাজার ৯০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে- মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রত্যাহারের এই সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, পেন্টাগনকে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেবেন বাইডেন।
সোমবারও হাজার হাজার আফগান কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করেন। তারা যেকোনো উপায়ে দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক। কানাডার একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের বর্তমান পরিস্থিতিতে সহিংসতা আরও সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের সঙ্গে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন আলোচনায় রয়েছে, যদিও বাইডেন এই মুহূর্তে সরাসরি আলোচনার কথা ভাবছেন না।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চেয়েছিলেন তাদের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে এ সময় বাড়ানো হবে কি-নাতা নিয়ে বাইডেন প্রতিদিনের অবস্থা পর্যালোচনা করবেন।
এর আগে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, এ মাসের শেষের মধ্যেই প্রত্যাহার সম্পন্ন করার দিকে আমাদের নজর রয়েছে। তবে সেখানে থাকা কমান্ডাররা যদি বলেন যে সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হবে তা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জানানো হবে। আমরা এখনই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তে যেতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমরা তালেবান মুখপাত্রের আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার সম্পর্কে জনসমক্ষে বিবৃতি দেখেছি। আমি মনে করি, আমরা সবাই সেই দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পেরেছি।
এখন পর্যন্ত কতজন মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে জন কিরবি বিবিসিকে সরাসরি কোনো সংখ্যা বলেননি। তবে তিনি বলেছেন তা ‘হাজার হাজার’ হবে।
নদী বন্দর / বিএফ