পদ্মার টাটকা মাছ আর ইলিশের জন্য মুন্সিগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়ৎ ক্রেতাদের কাছে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা। মুন্সিগঞ্জ ছাড়াও, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন বাজারে পদ্মার ইলিশ সরবরাহ হয়ে থাকে মাওয়া থেকে। এছাড়া প্রতিদিন ভোরে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে মাওয়ায়। তবে ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পারছেনা আড়ৎদারা।
অপরদিকে, চাহিদা বেশি থাকায় বেড়েছে মাছের দামও। সরবরাহ কমলে মাছের দাম আরও বাড়বে বলে জানান বিক্রেতা-আড়ৎদাররা।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর হতেই হরেক রকমের মাছের পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রতারা। ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকায় ধিরে ধিরে সরগরম হয়ে উঠে মাওয়া মৎস্য আড়ৎ। আড়ৎয়ের অন্যান্য মাছের চাইতে প্রধান আকর্ষণ ইলিশ। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। প্রতিটি আড়ৎতেই কমবেশি বিক্রি হয় ইলিশ। তবে বিক্রেতারা জানান, আড়তের অধিকাংশ ইলিশই মেঘনা আর চট্টগ্রামের।
কয়েকজন বিক্রেতা জানান, অন্য বছরের চেয়ে এ বছর ইলিশ কম। ফলে আড়তে সরবরাহ কমেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দূরদূরান্ত থেকে পাইকার, ক্রেতারা আড়তে আসলেও পর্যাপ্ত যোগান না থাকায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পদ্মার ইলিশ কমের পাশাপাশি চাঁদপুরের মেঘনা ও চট্টগ্রাম থেকে এনে ইলিশ বিক্রি করতে হচ্ছে।
বর্তমানে এক কেজি ওজনের পদ্মার ইলিশ ১৪০০-১৫০০, মেঘনার ইলিশ এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এক কেজির নিচের ইলিশ ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আকাশ নামের এক বিক্রেতা বলেন, গতবারের চেয়ে এ বছর নদীতে মাছ কম। তবে পদ্মার ইলিশের দাম বেশি। এখন বেশিরভাগ চাঁদপুরের ইলিশই বিক্রি হচ্ছে।
মো. সুমন নামের আরেক বিক্রেতা জানান, পদ্মার ইলিশ নেই, যা আসে সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যায়। এ সময় তো ইলিশের মৌসুম। ইলিশ দিয়ে আড়ৎ ভরে থাকার কথা ছিল। মাছের চাইতে ক্রেতা বেশি।
মাছ কিনতে আসা সালাউদ্দিন বলেন, মাওয়ায় পদ্মার ইলিশ কম। ফলে দাম অনেক। কিনতে পারবো কিনা ভাবছি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, অমাবস্যা-পূর্ণিমা এবং জোয়ার-ভাটাকে কেন্দ্র করে নদীতে ইলিশ কমে বাড়ে। আগামী অমাবস্যা-পূর্ণিমার পরই প্রচুর মাছ আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / সিএফ