ঠাকুরগাঁওয়ে মাছ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে ৬৫৫৫ মেট্রিকটন। গত অর্থবছরে জেলায় ৩৫ হাজার ৬৯৮ মেট্রিকটন মাছের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ২৯ হাজার ১৪৩ মেট্রিকটন। এতে মাছের চাহিদা পূরণে অন্য জেলার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এই জেলা।
ঠাকুরগাঁও মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালিদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
ঠাকুরগাঁও মৎস্য কার্যালয় থেকে সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাস। শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক মিলে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম। সেই হিসাবে একজন মানুষের প্রতিবছর মাছের চাহিদা প্রায় ২২ কেজি। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী মাছ খেতে পারছেন না এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। ফলে সারা বছরই মাছের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় ১৭টি নদী, সরকারি-বেসরকারি খাল-বিলসহ প্রায় ৬৫২.১২ হেক্টর জায়গায় মাছ চাষ হয়। এছাড়া ১৫ হাজার ৮৬০টি পুকুরেও মাছের চাষ করা হয়। আর বর্ষা মৌসুমে ১৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জলাভূমিতে মাছের চাষ হয়ে থাকে।
কয়েকজন মৎস্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জলবায়ুর পরিবর্তনে নদী-নালা, খাল-বিলে পানি না থাকায় মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পরিবেশগত পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে জলাশয়গুলোতে। ব্যাহত হচ্ছে মাছ উৎপাদন। একসময় জেলায় ৩০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু প্রায় ১৩৭ প্রজাতির মাছের এখন দেখাই মেলেনা। এতে এ অঞ্চলের মানুষ আমিষ জাতীয় খাদ্যের অভাবে স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালিদুজ্জামান জানান, জেলায় মাছের ঘাটতি পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মৎস্য অভয়াশ্রম সংরক্ষণ, মেরামত ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব কার্যক্রমের বাস্তবায়ন হলেই জেলায় মাছের ঘাটতি কমে যাবে।
নদী বন্দর / সিএফ