তানোরে খরিপ-২ মৌসুমে ইউরিয়া এবং নন ইউরিয়া টিসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) এবং এমওপি (মিউরেট অফ পটাশ) সারের সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা বাজারে সারের দোকানে এসব সার পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও পাওয়া গেলে তা কেজিতে ৫-১০ টাকা বেশী দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
রোপা আমন চাষীরা জানান, এখনই তাদের ইউরিয়া সারের সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন, তা না হলে আমন ফসল বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সার সংকটে রোপা আমন প সবজিসহ আগাম শীত-কালীন শাক-সবজি এবং মৎস চাষ ব্যহত হচ্ছে। কোথাও যমুনা ইউরিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় মোট ৯ জন বিসিআইসি (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন)-এর সার ডিলার রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বছরে তিনটি মৌসুমে কৃষকের চাহিদা বিবেচনা করে সারের চাহিদা দিয়ে থাকেন এবং সে অনুযায়ী সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে স্থানিয় কৃষকগণের অভিযোগ, এক শ্রেণীর ডিলার যমুনা ইউরিয়া ও উন্নতমাণের ডিএপি-টিএসপি উত্তোলনের পর মিলগেটে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়।
এছাড়াও মোকাম থেকে সার নিয়ে আশার পর কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গুদামজাত করার কথা থাকলেও তানোরে তা মানা হয় না। যে কারণে ডিলারগণ সহজেই কালোবাজারি করতে পারে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। তিনি বলেন, কোনো ডিলারের বিরুদ্ধে সুনিদ্রিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নদী বন্দর / এমকে