আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে সপ্তাহখানেক আগেও দাম নিয়ে হতাশায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। আম চাষিদের কপালে পড়েছিল দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তবে এখন ভালো দাম পাওয়ায় দূর হয়েছে তাদের চিন্তা।
আম ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে গত বছর থেকে তাদের ব্যবসার লোকসান হচ্ছে। তবে এবার দাম বাড়তে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে কানসাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে বাজারে রয়েছে সুস্বাদু আশ্বিনা জাতের আমে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম্রপালি কম হওয়ায় কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে এই আম। এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আশ্বিনা ফ্রুট ব্যাগিং করা আম ও ফ্রুট ব্যাগিং ছাড়া আম। ৭-১০ দিন আগেও এ জাতের আম বিক্রি হয়েছে ১৫০০-১৬০০ টাকা মণ দরে। কিন্তু গত তিনদিন থেকে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
কানসাট বাজারে আশ্বিনা ফ্রুট ব্যাগিং ছাড়া আম নিয়ে এসেছিলেন সবুজ আলী। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ৪শ’ মণ আশ্বিনা জাতের আম ছিল। প্রায় সব বিক্রি করে দিয়েছি ১৫০০-১৬০০ টাকা মণ দরে। কিন্তু ৩০ মণ আম গাছে ছিল, এগুলা এখন বিক্রি করছি চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা মণ দরে। এমন দাম প্রথমে থাকলে অনেক লাভবান হতাম।
আম বিক্রি করতে আসা ময়েন জানান, প্রায় আড়াইশ মণ আম ছিল আশ্বিনা জাতের। প্রথমে বিক্রি করেছি ৭০০-৮০০ টাকা মণ দরে। তবে ঈদের পর হতে আমের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। আশ্বিনা ফ্রুড ব্যাগিং করা আম বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-৩০০০ টাকা মণ দরে। প্রথম থেকে এ দামে আম বিক্রি করতে পারলে লোকসান হতো না। তবে আমাদের জিম্মি করে ৫২ কেজি মণ নিচ্ছেন আড়তদাররা।
কানসাট বাজারের আড়ৎদার মামুন জানান, এ বছর প্রথম থেকেই ৮০০-১২০০ টাকা মণ পর্যন্ত আশ্বিনা জাতের আম কিনেছি। এখন এ জাতের আম কিনছি ২৭০০-৩২০০ টাকা মণ দরে। আমের চাহিদা বেড়েছে। যারা গাছে আম রেখেছেন তারা এখন ভালো দাম পাচ্ছেন।
কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, ৫-৭ দিন থেকেই আমের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় খুশি আম চাষিরা। এখন আমের পরিমাণ কমে আসছে আর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর এই জেলায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
নদী বন্দর / এমকে