নিউজিল্যান্ড এবার বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুরু করেছিল। টাইগারদের স্পিন বোলিং অনায়াসেই খেলছিল। তবে বাংলাদেশের কাছে তো শুধু স্পিন অস্ত্রই নয়; আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো পেসার। সেই পেস দিয়েই কিউইদের বিপদে ফেলল টাইগাররা।
কিউই দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে বরাবরের মতো সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও স্পিন দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারই স্পিন করিয়েছেন টাইগার দলপতি। কিন্তু সুবিধা হয়নি এবার। শেখ মেহেদি হাসান প্রথম ওভারে দেন ১১ রান। দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বসেন একাদশে ফেরা ফিন অ্যালেন।
নাসুম আহমেদ করেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার। ওই ওভারেও একটি বাউন্ডারি হাঁকান অ্যালেন। যদিও নাসুম পরে ভালো বল করেছেন। ওভারে সবমিলিয়ে দেন মাত্র ৫ রান।
তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলেই উইকেট। সেই অ্যালেন, যিনি কিনা মারমুখী ভূমিকায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন।
সফট ডিসমিসাল যাকে বলে! মোস্তাফিজের ফুলার ডেলিভারি বুঝতে না পেরে আলতো ব্যাট ছুঁইয়ে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দেন অ্যালেন (১০ বলে ১৫)। মোস্তাফিজ ওই ওভারে নেন উইকেট মেইডেন।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে চোখ রাঙানি দিচ্ছিল রাচিন রবীন্দ্র আর উইল ইয়ংয়ের জুটি। ২৬ বলে ৩১ রান যোগ করেন তারা। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪০ রান তুলে কিউইরা। বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিক দল।
সেই অস্বস্তি দূর করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সপ্তম ওভারে এসে তিন বলের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন টাইগার পেসার। ওভারের চতুর্থ বলে তার শিকার ইয়ং (২০), ষষ্ঠ বলে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (০)।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৩ রান। রবীন্দ্র ১৬ আর অধিনায়ক ল্যাথাম ১ রানে অপরাজিত আছেন।
নদী বন্দর / সিএফ