দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ গত ৬ সেপ্টেম্বর, ‘ডি-কয়েনস’ শীর্ষক একটি আকর্ষণীয় লয়্যালিটি ও রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম চালু করেছে। ‘ইওর শপিং রিওয়ার্ড’ ট্যাগলাইনকে ধারণ করে শুরু হওয়া দারাজের এ প্রোগ্রামে ক্রেতারা চমৎকার শপিং ভাউচার সংগ্রহ করতে ও নিজেদের পছন্দের পণ্য কিনতে আকর্ষনীয় ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
এই উপলক্ষে, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান বলেন, “ক্রেতাদের জন্য দারাজ ডি-কয়েনস প্রোগ্রাম চালু করতে পেরে ও বিস্তৃত অপশনসহ সুবিধাজনক কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ব্র্যান্ডপ্রেমীরা এ চমৎকার সুযোগে আকর্ষণীয় ছাড়ে তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে পারবেন। আমরা আশা করছি এই প্রোগ্রামটি ক্রেতাদের জন্য একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
উল্লেখ্য, ক্রেতারা তিনটি উপায়ে দারাজ অ্যাপ থেকে কয়েন সংগ্রহ করে বিভিন্ন ভাউচার পাবেন। প্রতিদিন অ্যাপের কয়েনস পেইজ ভিজিটের মাধ্যমে এবং কয়েনস ক্লেইম করার মাধ্যমে ইউজাররা নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েন সংগ্রহ করতে পারবেন এবং কয়েনগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভাউচার কালেক্ট করতে পারবেন। অ্যাপে ইউজাররা তাদের পছন্দের মিশনটি সম্পূর্ণ করেও কয়েন সংগ্রহ করতে পারবেন এবং কয়েনগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভাউচার কালেক্ট করতে পারবেন। পণ্য ক্রয় করলেও থাকছে কয়েন সংগ্রহের সুবিধা যা দিয়ে তারা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ভাউচার কালেক্ট করতে পারবেন। ডি-কয়েনস ক্রেতাদের সহজে অফার প্রদানের মাধ্যমে অনলাইন শপিং কে আরো উপভোগ্য করে তুলতে সহায়তা করে।
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ। দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি।
দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
নদী বন্দর / জিকে