ইউএস ওপেনের নারী এককে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন ১৮ বছরের এমা রাডুকানু। ৬-৪, ৬-৩ ব্যবধানে সরাসরি সেটে কানাডিয়ান প্রতিপক্ষ লেইলা ফার্নান্দেজকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এই ব্রিটিশ তরুণী।
কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে আসা কোনো টেনিস খেলোয়াড় এর আগে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিততে পারেননি। রাডুকানুই প্রথম। নিজের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্ল্যামেই বাজিমাত করলেন অবাছাই এই অষ্টাদশী।
সেরেনা উইলিয়ামসের পর দ্বিতীয় নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে একটিও সেটে না হেরে চ্যাম্পিয়ন হলেন রাডুকানু। সেইসঙ্গে ৫৩ বছর পর প্রথম ব্রিটিশ নারী হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতলেন এমা।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের আগে এ বছরের উইম্বলডনেই প্রথমবার গ্র্যান্ডস্ল্যামে আর্বিভাব ঘটে এমার। ঘাসের কোর্টে শুরুটা ভালো করেও চতুর্থ রাউন্ডে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জেরে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল তাকে। কে ভেবেছিল, মাত্র দুই মাস পরেই ব্রিটিশ তরুণীকে আর্থার অ্যাশে খেতাব হতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে!
মাত্র তিন বছর আগেই উইম্বলডন জুনিয়রের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন এমা ও লেইলা। সেই ম্যাচের মতো নিজেদের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামের লক্ষ্যে কোর্টে নামা দুই তরুণীর লড়াইয়েও বাজিমাত করলেন ১৮ বছরের এমা।
একটিও সেট না খুইয়ে ফ্লাশিং মিডোয় নিজের ১০ নম্বর ম্যাচ জিতে খেতাব নিজের করে নিয়েছেন এমা। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে শুরুর সময় নারী এককে বিশ্বের ১৫০ নম্বর টেনিস তারকা হিসাবে কোর্টে নামেন এমা, কোর্ট ছাড়লেন নিজের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতে ২৩ নম্বর টেনিস তারকা হিসাবে।
প্রথম সেটেই দুইবার লেইলার সার্ভিস ভেঙে সেট জেতেন রাডুকানু । দ্বিতীয় সেটে ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচাতে পারলেও নিজের হার বাঁচাতে পারেননি লেইলা।
ম্যাচ চলাকালীন একবার আহত হতে হয়েছিল রাডুকানুকে। সেখান থেকে ফিরে এসে রীতিমত চোখ ধাঁধানো টেনিস খেললেন। ইতিহাস যেন তার নামটাকে আলিঙ্গন করতে দাঁড়িয়েই ছিল!
নদী বন্দর / জিকে