1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
শেষ ওভারের থ্রিলার জিতে সিপিএল চ্যাম্পিয়ন গেইল-ব্রাভোরা - Nadibandar.com
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৯৮ বার পঠিত

নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে তারকাখচিত ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ছেড়ে সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসে নাম লিখিয়েছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো। সঙ্গে নিয়েছিলেন দ্য ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইলকেও। এ চ্যালেঞ্জটি তারা দুজন শেষ করলেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতার মধ্য দিয়েই।

বুধবার রাতে শেষ হয়ে গেলো সিপিএলের এবারের আসর। ফাইনাল ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে একদম শেষ বলে সেইন্ট লুসিয়া কিংসকে ৩ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গেইল-ব্রাভোদের সেইন্ট কিটস। ফাইনালের নায়ক ব্যাটসম্যান বনে যাওয়া বাঁহাতি পেসার ডমিনিক ড্রেকস।

ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল সেইন্ট লুসিয়া। এ রান তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়েছিল সেইন্ট কিটসও। হাসেনি এভিন লুইস, ক্রিস গেইলদের ব্যাট। জশুয়া ডা সিলভা, শেরফান রাদারফোর্ডরা স্রেফ চেষ্টাই করতে পেরেছেন, পারেননি দলকে নিরাপদ স্থানে নিতে। শেষমেশ ড্রেকসের ব্যাটে এসেছে জয়।

পুরো আসরে দুর্দান্ত খেলা লুইস এদিন আউট হন ৪ রান করে, রানের খাতাই খুলতে পারেননি গেইল। জশুয়া ৩২ বলে ৩৭ ও রাদারফোর্ড ২২ বলে ২৫ রান করে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। অধিনায়ক ব্রাভো আউট হন ১১ বলে ৮ রান করে। একপর্যায়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রান।

অর্থাৎ জয়ের জন্য ৩৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৬৫ রান। কিন্তু হাতে মাত্র ৫ উইকেট। সেখান থেকে ফাবিয়ান অ্যালেনকে নিয়ে ২৬ বলে ৪৪ রান যোগ করেন ড্রেকস। জয়ের জন্য ২১ রান বাকি থাকতে আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ২০ রান করেন অ্যালেন। একই ওভারে সাজঘরে ফেরেন ২ বলে ৫ রান করা শেলডন কটরেল।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ৯ রানের। ড্রেকস তখন অপরাজিত ১৯ বলে ৪০ রান নিয়ে। কিন্তু প্রথম চার বলে মাত্র ৪ রান খরচ করেন ডানহাতি পেসার কেসরিক উইলিয়ামস। ফলে শেষ ২ বলে বাকি ৫ রান। পাল্লা তখন ঝুলছিল সেইন্ট লুসিয়ার দিকেই। তবে ভিন্ন চিন্তা ছিলো ড্রেকসের।

অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলটি এক্সট্রা কভার সজোরে লফটেড ড্রাইভ করেন ড্রেকস। মনে হচ্ছিলো ছক্কাই হয়ে গেছে সেটি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় অল্পের জন্য হয়েছে চার। শেষ বলটি ড্রেকসের ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে চলে যায় ফাইন লেগে, পড়িমড়ি করে দৌড়ে রানটি নেয়ার মাধ্যমেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।

স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরষ্কার উঠেছে ড্রেকসের হাতে। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩টি করে চার-ছয়ের মারে ২৪ বলে ৪৮ রান করে। সবাই যখন ড্রেকসের সাফল্য উদযাপনে ব্যস্ত, তখন ড্রেকস ছুটে যান মাঠের অ্যানালগ স্কোরবোর্ডের কাছে। নিজের জার্সি খুলে দিয়ে আসেন এক স্কোরবোর্ড অপারেটরকে। যেমনটা তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ম্যাচ শুরুর আগে।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেইন্ট লুসিয়াকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেয়ার বড় কৃতিত্ব কেমো পলের। তিনি শেষদিকে খেলেন ৫ ছয়ের মারে ২১ বলে ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস। এছাড়া রাহকিম কর্নওয়াল ৩২ বলে ৪৩ ও রস্টোন চেজ ৪০ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে দলের সংগ্রহে অবদান রাখেন।

নদী বন্দর / বিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com