দেশব্যাপী পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে বন্ধ রয়েছে ডেলিভারি কার্যক্রম। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বন্দরে পণ্যবাহী কোনো যান প্রবেশ কিংবা বের হয়নি। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান না হলে বন্দরের ভেতরে পণ্যজট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ১৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। চলবে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত। ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-প্রাইম মুভার মালিক অ্যাসোসিয়েশন। ধর্মঘটে দেশের প্রায় ৯২ ভাগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দরে গতকাল (মঙ্গলবার) ভোর ৬টা থেকে বন্ধ রয়েছে ডেলিভারি কার্যক্রম। এর ফলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে কমে গেছে পণ্যবাহী যান চলাচল।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ধর্মঘটের কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্দরে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরের বাকি কার্যক্রম। জাহাজে মালামাল লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হলে ডেলিভারি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিঙ্গাপুর-কলম্বোসহ ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোর অচলাবস্থা সত্ত্বেও পরিকল্পিত পদক্ষেপে এ বছরের মধ্যে আগস্ট মাসেই চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি সচল ছিল। এ মাসে প্রায় অর্ধেকের মতো জাহাজ দিনে দিনে হ্যান্ডলিং করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বাকি জাহাজও এক-দুইদিনের মধ্যে হ্যান্ডলিং করা হয়। তবে দ্রুত ধর্মঘট সমাধান না হলে বন্দরের এমন গতিতে ছন্দপতন হতে পারে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নদী বন্দর / পিকে