শেষ দুই ওভারে দরকার ২১ রান। উইকেটে মারমুখী ব্যাটিংয়ে সেট ব্যাটার জেসন হোল্ডার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়টা অসম্ভব ছিল না।
১৯তম ওভারে অর্শদ্বীপ সিং মাত্র ৪ রান খরচ করার পরও আশা বেঁচে ছিল হায়দরাবাদের। নাথান এলিসের করা ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্বা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন হোল্ডার।
শেষ ৪ বলে দরকার ১০। ২৫ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত হোল্ডার, যে ইনিংসে আবার ৫টি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন। হায়দরাবাদ শিবিরে তাই আশার আলোটা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সফরে নিজেকে চেনানো এলিস শেষ চার বলে দিলেন মাত্র ৪ রান।
ফলে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেলো পাঞ্জাব কিংস। ৫ রানের জয়ে আইপিএলে প্লেঅফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে লোকেশ রাহুলের দল। অন্যদিকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে হায়দরাবাদের।
হায়দরাবাদের জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২৬ রানের। কিন্তু শুরু থেকেই তাদের কোণঠাসা করে রেখেছিলেন পাঞ্জাব বোলাররা। ১৩ ওভারে ৬০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে হায়দরাবাদ।
সেখান থেকে হোল্ডারের লড়াই। ২৯ বলে ৫ ছক্কায় শেষপর্যন্ত ৪৭ রানে অপরাজিতই থেকে যান ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। এছাড়া ৩৭ বলে ৩১ করেন ঋদ্ধিমান সাহা। হায়দরাবাদ থামে ৭ উইকেটে ১২০ রানে।
এর আগে শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একদমই সুবিধা করতে পারেনি পাঞ্জাব। একের পর এক উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে লোকেশ রাহুলের দল। যদিও নির্ধারিত ২০ ওভার পার করতে পেরেছে তারা, তবে ৭ উইকেটে ১২৫ রানের বেশি যেতে পারেনি।
পাঞ্জাব ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউ ত্রিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন এইডেন মার্করাম, সেটাও ৩২ বল খেলে।
এছাড়া লোকেশ রাহুল ২১ বলে ২১, ক্রিস গেইল ১৭ বলে ১৪ আর শেষদিকে হারপ্রিত ব্রার ১৮ বলে হার না মানা ১৮ রান করে কোনোমতে দলকে ১২৫ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল জেসন হোল্ডার। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন ক্যারিবীয় এই পেসার।
নদী বন্দর / বিএফ