লুকিয়ে লুকিয়ে ছয়টি বিয়ে, সন্তানের বাবা হয়েছেন একাধিক সংসারে। কাউকে কিছু না জানিয়ে ঠিকঠাকই চালিয়ে নিচ্ছিলেন সব। কিন্তু ঝামেলা হয়ে যায় একদিন শ্বশুরবাড়ি যাওয়া পথে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বিয়ে করেছিলেন পাশাপাশি দুই গ্রামে। ফলে যাওয়া-আসার পথে এক জায়গায় দেখা হয়ে যায় দুই পক্ষের পরিচিতজনদের সঙ্গে। তাতেই বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। ফলশ্রুতিতে কপালে জোটে বেদম গণপিটুনি।
সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকায়। অভিযুক্ত যুবককে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। ছয় বিয়ের আদ্যোপান্ত জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা যায়, হায়দ্রাবাদে ফুল সাজানোর কাজ করতেন দাসপুরের গদাইপুরের বাসিন্দা সন্তোষ দলুই। সেখানেই প্রথম বিয়ে করেন তিনি। এরপর বছর পাঁচেক আগে নিজের বাড়ি ফিরে সেখানকার এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের এক সন্তানও রয়েছে। এরপর মহেশপুর গ্রামে ফের বিয়ে। সেখানে রয়েছে বছর তিনেকের সন্তান। এভাবে একের পর এক বিয়ে করে দেড় বছর আগে মহেশপুরের ঠিক পাশের গ্রাম কলরার এক নারীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। এটি ছিল তার ষষ্ঠ বিয়ে।
দিন দুয়েক আগে কলরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথেই বিপাকে পড়েন সন্তোষ। কলরা ও মহেশপুরের মধ্যকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন কয়েকজন যুবক। তাদের চোখে পড়ে, সন্তোষ কলরা গ্রামের দিকে যাচ্ছে। এসময় মহেশপুরের পরিচিতরা ডেকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কোথায় যাচ্ছেন? এতজনের হাতে ধরা পড়ে সন্তোষ আর বিষয়টি সামলাতে পারেননি।
একদিকে মহেশপুরের লোকজন তাকে ‘জামাই’ বলছেন, অন্যদিকে কলরা গ্রামের বাসিন্দাদেরও একই দাবি। দুই গ্রামবাসীর তর্কাতর্কি আর লাগাতার জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত সত্যটা বলতে বাধ্য হন সন্তোষ। জানান, কলরা গ্রামের রিংকু আসলে তার ষষ্ঠ স্ত্রী।
এরপরই দুই পরিবারের কাছে ‘গুণধর’ জামাইয়ের গোপন খবর পৌঁছায়। তারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তবে ততক্ষণে উত্তেজিত গ্রামবাসীর হাতে গণপিটুনি খেয়ে অবস্থা খারাপ সন্তোষের। তথ্য গোপন করে ছয়টি বিয়ে করায় বেধড়ক মারধরের পর দাসপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। প্রতারণার অভিযোগে সন্তোষের নামে মামলা করেছেন পঞ্চম স্ত্রীর বাবা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
নদী বন্দর / এমকে