করোনাকালীন অচলাবস্থার মধ্যেও এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজ। ইতোমধ্যে আড়াই হাজার মিটার দীর্ঘ একটি টানেল টিউব বসে গেছে। চলছে দ্বিতীয় টানেল টিউব স্থাপন। টানেলের ৬১ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে চলাচল করবে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এই টানেল দিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো দ্রুত পৌঁছে যাবে কক্সবাজারে। আগের চেয়ে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা কম সময় লাগবে গন্তব্যে পৌঁছাতে। শুধু ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি নয়, এই সুড়ঙ্গপথ দিয়ে মূল শহরকে এড়িয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গাড়ি পৌঁছে যাবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটে। এখন সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
এ সবকিছুই সম্ভব হবে ২০২২ সালের নির্ধারিত সময়ে কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ হওয়ার মাধ্যমে যানবাহন চলাচল শুরু হলে। ইতোমধ্যে টানেলের ৬১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানালেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ।
কর্ণফুলী টানেল চালুর প্রথম বছরে ৫০ লাখের বেশি গাড়ি টানেলের নিচ দিয়ে চলাচল করবে। ৫১ শতাংশ হবে কনটেইনার পরিবহনকারী ট্রেইলর, বিভিন্ন ধরনের ট্রাক, ভ্যান। বাকি ৪৯ শতাংশের মধ্যে ১৩ লাখ বাস ও মিনিবাস আর ১২ লাখ কার, জিপ ও বিভিন্ন ছোটগাড়ি চলাচল করবে বলে ধারণা টানেল কর্তৃপক্ষের। টানেলের ফলে দ্রুত অনেক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদ নগর পরিকল্পনাবিদের।
নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান জানান, এই অঞ্চলকে ঘিরে চট্টগ্রামকে একটি রিজিউনাল হাব হিসেবে চিন্তা করছি। সেক্ষেত্রে টানেলের মাধ্যমে কানেক্টিভিটি অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
চীনের সাংহাই নগরীর আদলে এই টানেল হলে শুধু ওয়ান সিটি টু টাউন নয়, নদীর ওপারে স্থাপিত শিল্পকারখানায় বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
চার লেনবিশিষ্ট দুটি টিউবসংবলিত ৩ দশমিক তিন দুই কিলোমিটার এই টানেলের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
নদী বন্দর / এমকে