এক বছর আগের আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস বিদায় নিয়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকেই। মাত্র এক বছরে কী অসাধারণ প্রত্যাবর্তন। এমনকি মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে খেলা শেষ আইপিএল টুর্নামেন্টটি দারুণভাবে রাঙিয়ে দেয়ার সব আয়োজন চূড়ান্ত করে ফেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
রোববার রাতে অনুষ্ঠিত প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসকে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায়, ধোনির অসাধারণ ফিনিশিংয়ে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় চেন্নাই।
আরও একবার দেখা গেলো ধোনির ফিনিশিং পারফরম্যান্স। জয়ের জন্য শেষ ওভারে চেন্নাইর প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। দিল্লির বোলার টম কুরান। প্রথম বলেই তিনি তুলে নিলেন মইন আলির উইকেট। কাগিসো রাবাদার হাতে ক্যাচ দেন মইন।
এরই মধ্যে প্রান্ত বদলে স্ট্রাইকে চলে আসেন ধোনি। পরের বলেই এক্সট্রা কভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দিলেন ধোনি। পরের বলে আবারও বাউন্ডারি। ধোনির যেন সেই পুরনো ফর্ম পুরো দমে ফিরে এলো তখন। চতুর্থ বল টম কুরান দিলেন ওয়াইড। সুতরাং, বৈধ ৪র্থ বলের ডেলিভারিতে আবারও বাউন্ডারি। বলা যায়, টানা তিন বাউন্ডারিতে চেন্নাইকে জয় এনে দেন ক্যাপ্টেন ধোনি।
অথচ, লক্ষ্যটা ছিল অনেক বড়। ১৭৩ রানের। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এত স্কোর তাড়া করে জয় করা চাট্টিখানি কথা নয়। সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ডু প্লেসির উইকেট হারায় চেন্নাই। ৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর হাল ধরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং রবিন উথাপ্পা। ১১০ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন।
৫০ বলে ৭০ রান করে আউট হন রুতুরাজ। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ২টি। ৪৪ বলে ৬৩ রান করেন উথাপ্পা। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ২টি। অন্য ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও মইন আলি ১৬ এবং ধোনি ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রান করে জয় এনে দেন চেন্নাইকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পৃথ্বি শ’র ৩৪ বলে ৬০, রিশাভ পান্তের ৩৫ বলে ৫১ এবং শিমরন হেটমায়ারের ২৪ বলে ৩৭ রানের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে দিল্লি ক্যাপিটালস।
হারলেও বিদায় নিশ্চিত নয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। ইলিমিনেটর রাউন্ডে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যকার বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে দিল্লি, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে।
নদী বন্দর / এমকে