ব্যবহারযোগ্য পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। এতে সমস্যায় পড়েছে অবরুদ্ধ এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। গাজার অধিকাংশ মানুষকে বেসরকারি কোম্পানিগুলো থেকে পানি কিনে খেতে হয়। বিদ্যুৎ সংকটের ফলে পৌরসভার পানির লাইনে প্রায়ই পানি থাকে না। মাঝে মধ্যে পানি পাওয়া গলেও তা পান করার উপযোগী থাকে না। খবর আল-জাজিরা।
গাজা উপত্যকার পানি অনেক বেশি দূষিত যা জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে শিশুদের ওপর। তারা বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ইসরায়েলের অবরোধ, মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এবং ক্রমাগত বিমান হামলার কারণে গত কয়েক বছরে পানির এই সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
আল-শাতী শরণার্থী শিবিরের ৩৬ বছর বয়সী ফ্যালেস্টিন আবদেলকরিম বলেন, এখানের পানি খাওয়ার উপযুক্ত নয়। মনে হচ্ছে এখানকার পানি সমুদ্র থেকে আসে। এ পানি আমরা রান্না বা গোসলের কাজে ব্যবহার করতে পারি না।
তিনি বলেন, শরণার্থী শিবিরের জীবন খুবই কঠিন। আমরা সব সময় পানি কিনে খাই। গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা সপ্তাহে তিনবার পৌরসভার পানি নেওয়ার অনুমতি পায়।
উত্তর গাজার বাসিন্দা মোহাম্মাদ সেলিম (৪০) নামের একজন জানিয়েছেন, পানি দূষিত হওয়ার কারণে বাগান করা যাচ্ছে না। পানি অতিরিক্ত লবনাক্ত হওয়ায় সব গাছ শুকিয়ে গেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজা উপত্যকায় পানির খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে কয়েক বছর ধরে সতর্ক করে আসছে।
গত সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৮তম অধিবেশনে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ওয়াটার, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথ এবং ইউরো-মেডিটেরিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর বলেছে, গাজা উপত্যকার পানি পান করা যায় না এবং ধীরে ধীরে মানুষের শরীরকে বিষাক্ত করছে দূষিত পানি।
তারা বলছে, ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধের কারণে গাজায় পানি ব্যবস্থাপনায় চরম অবনতি হয়েছে। এ এলাকার ৯৭ শতাংশ পানিই দূষিত বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।
নদী বন্দর / পিকে