কোনো রাখঢাক না রেখেই কথা বলতে ভালোবাসেন সাকিব আল হাসান। নিজের সেই চিরচেনা রূপ গতকাল আরেকবার দেখালেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, পরের রাউন্ডে ওঠার পথ আবার খুলে যাওয়ায় বাংলাদেশ দলের এখন লক্ষ্যটা এখন কি? সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নের জবাবে যেন বিরক্তি ধরল সাকিবের কণ্ঠে। হাসির ছলে তিনি দিলেন কাটা জবাব, ‘আমাদের স্বপ্নের কথা তো আমরা বলেই এসেছি। আর স্বপ্ন কি প্রতিদিন পরিবর্তন হয় নাকি?’
ব্যাট হাতে ৪২ এবং বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ওমানকে হারানোর নায়ক সাকিব এমন প্রশ্নে যে মেজাজ হারিয়েছেন, তার বলা পরের কথাগুলোতেই বোঝা গেল বিষয়টি, ‘প্রথম আমাদের লক্ষ্য পরবর্তী স্টেজে কোয়ালিফাই করা। এরপর সেমিফাইনাল খেলা। আমরা যখন দেশ থেকে আসি, তখন তো আমাদের একটা বড় স্বপ্ন নিয়ে আসতে হবে। যদি বলেই আসি সব ম্যাচ হারব, আমরা হারতে যাচ্ছি, আপনার কি সেটা খুশি মনে নেবেন? মেনে নিলে পরের বার এটাই করব।’
বিশ্বকাপের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় সবাই নিজেদের লক্ষ্য বলতে জানিয়েছিলেন, সেমিফাইনাল খেলার কথা। তবে স্কটল্যান্ডের কাছে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর সেই লক্ষ্যকে দূর দিগন্তের তারা মনে হচ্ছিল। টাইগাররা সুপার টুয়েলভে উঠতে পারে কি-না, সেটা নিয়ে জেগেছিল সন্দেহ।
তবে ওমানকে হারানোয় ফিরেছে স্বস্তি। শেষ ম্যাচ জিতলেই অনেকটা নিশ্চিত পরের রাউন্ড। সাকিব নিজেও মানছেন এই জয় স্বস্তি হিসেবেই কাজ করবে, ‘অবশ্যই স্বস্তির জয়। ড্রেসিং রুমে পরিবেশের জন্য ভালো হবে। এই জয় আমাদের একটু হলেও স্বস্তি দেবে।’
ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতলেও, ওমান ম্যাচের প্রায় অনেকটা জুড়ে দাপট দেখিয়েছে। এই গ্রুপের আগের ম্যাচে স্কটল্যান্ড তো টাইগারদের হারিয়েই দেয়। আইসিসির সহযোগী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হয়েও, তাদের এমন পারফরম্যান্সের প্রশংসা না করে পারলেন না সাকিব, ‘যারা সহযোগী দেশ, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। ওরা অনেক প্রতিকূলতার মাঝে খেলাধুলা করে। তারপরও এত ভালো ক্রিকেট খেলছে, এজন্য ওদের কৃতিত্ব প্রাপ্য।’