1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
৩৮ বলেই হার, লজ্জার ষোলোকলা পূর্ণ টাইগারদের - Nadibandar.com
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৩২ বার পঠিত

ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে এমন বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বোধ হয় দেখা যায়নি কখনই। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করলো টাইগাররা।

সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিল। সুপার টুয়েলভপর্বে পাঁচ ম্যাচের সব কটিতে হার নিয়ে সেই স্বপ্ন কবর দিয়ে ফিরছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

তার চেয়েও বড় কথা, সেই হারগুলোর মাঝে লড়াকু মানসিকতার ছিঁটেফোটা দেখা যায়নি। বরং একের পর এক লজ্জার রেকর্ড গড়তে পিছপা হয়নি লাল সবুজ জার্সিধারীরা।

আজ (বৃহস্পতিবার) সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ৮২ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়।

আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। যেটি ছিল দেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

এবার অস্ট্রেলিয়া আরও বড় লজ্জা দিলো। ৫ ওভার বাকি থাকতেই ইনিংস গুটিয়ে দিলো ৭৩ রানে। এটি এখন টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরাবরের মতো শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ওপেনিং জুটি দাঁড়াতেই পারেনি। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস।

মিচেল স্টার্কের ১৪৪ কিলোমিটার গতির এক ডেলিভারি বাইরে থেকে টেনে এনে বোল্ড হন লিটন। পরের ওভারে জশ হ্যাজলেউড তুলে নেন সৌম্য সরকারকে (৮ বলে ৫), তিনিও হন বোল্ড।

তৃতীয় ওভারে আরও এক উইকেট। এবার মুশফিকুর রহিমকে (২ বলে ১) এলবিডব্লিউ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২.৫ ওভারে ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

ব্যাটারদের সেই আসা-যাওয়ার মিছিল আর একটু থেমেছিল ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত। চার বলের ব্যবধানে দুই তরুণ নাইম শেখ (১৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭) আর আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪ বলে ০) ফিরে সেই চাকা আবারও চালু করে দেন।

এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারী নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। ১১তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পা তাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান। ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় শামীম করেন ১৮ রান। পরের বলে মেহেদি হাসান এলবিডব্লিউ হন গোল্ডেন ডাকে।

একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সতীর্থদের এমন আসা-যাওয়া থেকে তাল সামলে রাখতে পারেননি তিনিও। লেগ সাইডে বেরিয়ে যেতে থাকা বলে ব্যাট লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন মাহমুদউল্লাহ। ১৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে তিনি তখন ১৬ রানে।

৬৫ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বাকি ২ উইকেট হারিয়েছে আর ৮ রান যোগ করে। মোস্তাফিজুর রহমান আউট হন ৯ বলে ৪ রানে, তাসকিন আহমেদ ১১ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর নায়ক অ্যাডাম জাম্পা। অসি লেগস্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট। ২টি করে মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলেউডের।

লক্ষ্য মাত্র ৭৪ রানের। জবাব দিতে নেমে আর বেশি দেরি করতে চায়নি অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ বলে ৫৮ রান তোলেন ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চ।

ফিঞ্চ যেভাবে খেলছিলেন, পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু তাসকিন আহমেদ ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন অসি অধিনায়ককে (২০ বলে ৪০)।

সেই উইকেট দেখেই যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠেন শরিফুল ইসলাম, বোল্ড করে দেন ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৪ বলে ১৮)। তবে তাতে পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমেছে। অল্প সময়ে ম্যাচ হেরে যাওয়ার লজ্জা কাটানো যায়নি।

নদী বন্দর / সিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com