২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জাল ফেলে ইলিশ পাচ্ছেন না বরগুনার জেলেরা। ইলিশ ধরা না পড়ায় ট্রলার নিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের। এ নিয়ে জেলেদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
জেলে ও স্থানীয়রা জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আশা নিয়ে নদীতে ইলিশ শিকারে যান জেলেরা। মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে বরগুনার পায়রা-বিশখালী-বলেশ্বর নদীতে ছোট জাল ফেলছেন না জেলেরা। ফলে বড় জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাহলে বড় ইলিশ কোথায় গেলো জেলেদের প্রশ্ন।
পায়রা নদীর তীরের গুলবুনিয়া এলাকার জেলে সাত্তার ফরাজী বলেন, অবরোধে আমাদের অবস্থা বেহাল। ধারদেনা করে বড় ফাঁসের জাল বানিয়েছি। এ জাল নিয়ে নদীতে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। একবার জাল ফেললে তিন-চারটা ইলিশ উঠছে।
ফুলঝুড়ি এলাকার জেলে বাদল মীর বলেন, নদীতে বড় ইলিশের দেখা পাই না বহুদিন। অবরোধের পর মাঝারি সাইজের কয়েকটা ইলিশ পেয়েছি। সেটা বিক্রি করে নৌকা মেরামত করিয়েছি। এমন দিনও গেছে যে একটাও ইলিশ ধরতে পারিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার দেব বলেন, ডিম দেওয়ার সময় হলে ইলিশ নদীতে এসে ডিম পাড়ে। শেষ হলে আবারও সাগরে চলে যায়। এটাই হচ্ছে ইলিশের ধর্ম।
নদী বন্দর / এমকে