৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সোমবার (৪ জানুয়ারি) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় বলাকায় জাতীয় পতাকা ও সংস্থার নিজস্ব পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন।
সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এসময় বিমানের উন্নতি কামনায় মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। মোনাজাতে করোনা মহামারি থেকে বিশ্বকে রক্ষা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করা হয়।
বিমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. মোকাব্বির হোসেন বিমানের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বক্তব্যে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন এবং সেবাধর্মী আচরণ নিয়ে জাতীয় এয়ারলাইন্সকে বিশ্বের অন্যতম এয়ারলাইন্সে উন্নীত করার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে যেখানে বিশ্ববিখ্যাত বিমান সংস্থাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে সেখানে স্বল্প পরিসরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চার্টার্ড, বিশেষ, কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। কিছুটা ব্যয় সংকোচন করে হলেও বিমান তার কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বেতন ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করে যাচ্ছে। কোভিডের কারণে বিমান এখন পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে চাকুরিচ্যূত করেনি। বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করেন। অতপর বাণিজ্যিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই বিমানকে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয় যা সম্পূর্ণভাবে সরকারি মালিকানাধীন এবং এটি ১৩ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়।
বিভিন্ন দেশের ১৯টি শহরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গন্তব্য রয়েছে। বর্তমানে বিমান বহরে মোট ১৯টি উড়োজাহাজ রয়েছে যার মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিম লাইনার, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিম লাইনার, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমানে বিমানের বহর যেকোন সময়ের তুলনায় তারুণ্যদীপ্ত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার সেরা ১০টি এয়ারলাইন্সের একটি হিসেবে বিশ্বমান অর্জনের রূপকল্প সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
নদী বন্দর / পিকে