সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানিয়েছেন, সারাদেশে সরকারি পর্যায়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ছয় বিভাগে ছয়টি শান্তি নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম) রয়েছে। এগুলো ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বাগেরহাট, বরিশাল ও সিলেট জেলায় অবস্থিত।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী অধিদপ্তরের অধীনে ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবারে প্রবীণ (বৃদ্ধ-বৃদ্ধা) ব্যক্তিদের জন্য ১০টি করে আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের ভর্তি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সমাজসেবা অধিদপ্তর সম্পূর্ণ জিওবির অর্থায়নে ৭ হাজার ৩৯৮ দশমিক ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২২ মেয়াদকালে বাস্তবায়নের জন্য ৮টি সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট শান্তি নিবাস স্থাপন শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সম্প্রতি একনেক এটির অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ৮টি সরকারি শিশু পরিবারে শান্তি নিবাস স্থাপন করা হবে।
শান্তি নিবাসগুলো হলো- ১. শান্তি নিবাস (প্রবীণা), শেখ রাসেল দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ; ২. সরকারি শিশু পরিবার (প্রবীণা) লালমনিরহাট সদর, লালমনিরহাট; ৩. শান্তি নিবাস (প্রবীণ), সরকারি শিশু পরিবার, সম্ভুগঞ্জ, ময়মনসিংহ; ৪. শান্তি নিবাস (প্রবীণা), সরকারি শিশু পরিবার, সুনামগঞ্জ সদর, সুনামগঞ্জ; ৫. শান্তি নিবাস (প্রবীণা), সরকারি শিশু পরিবার, মাইজদী, নোয়াখালী; ৬. শান্তি নিবাস (প্রবীণ), সরকারি শিশু পরিবার, বায়া, রাজশাহী; ৭.শান্তি নিবাস (প্রবীণ), সরকারি শিশু পরিবার, মহেশ্বরপাশা, খুলনা ও ৮. শান্তি নিবাস (প্রবীণ), সরকারি শিশু পরিবার, সাগরণী, বরিশাল।
মন্ত্রী বলেন, বর্ণিত প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে দেশের সব জেলায় একটি করে শান্তি নিবাস (প্রবীণ/প্রবীণা) স্থাপন করা হবে। বর্তমানে চারটি প্রবীণ নিবাস স্থাপন প্রকল্প চলমান রয়েছে। তার মধ্যে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে একটি, যৌথ অর্থায়নে দুটি ও পিপিপির আওতায় একটি প্রকল্প চলমান। এছাড়া বিগত অর্থবছরে যশোর ও মাদারীপুর জেলার দুটি প্রবীণ নিবাস স্থাপন সংক্রান্ত প্রকল্প শেষ হয়েছে।
এসময় মন্ত্রী প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত সংসদে তুলে ধরেন।
নদী বন্দর / পিকে