জাতীয় সংসদের কক্ষে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকার অভিযোগ তুললে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানাকে ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহারের জন্য বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় আইনমন্ত্রী ‘টিপ্পনী কেটে’ বলেন, ‘ওয়াই-ফাইয়ের কোড (পাসওয়ার্ড) জয় বাংলা; তাই বোধহয় উনি ব্যবহার করবেন না।’ তখন সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে ‘বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১’ পাসের আলোচনার সময় এ ঘটনা ঘটে।
বিলটির আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
রুমিনের পর দুজন এমপি বক্তব্য দেন। তারপর বক্তব্যের জবাব দিতে ওঠেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় সংসদ কক্ষে ছিলেন না রুমিন। রুমিনের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উনি চলে গেছেন। আমার বক্তব্য ওনার শোনার দরকার নাই। ওনার বক্তব্য আমার কানে ঢুকিয়ে উনি চলে গেছেন।’
কিছু সময় পর বিলটির সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে রুমিন আইনমন্ত্রীর কথার জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জির কথা শুনি। কিন্তু সংসদে নেটওয়ার্ক থাকে না মাননীয় স্পিকার।’
রুমিন জানান, তিনি ফৌজদারি কার্যবিধি মুঠোফোনে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সংসদ কক্ষে নেটওয়ার্ক না থাকায় তা দেখা যাচ্ছিল না। এ কারণে তিনি বাইরে গিয়েছিলেন।
পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রুমিনকে সংসদের ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। স্পিকার বলেন, ‘ওয়াই-ফাই কানেক্ট করার চেষ্টা করুন। এখানে ওয়াই-ফাই থাকার কথা।’
পরে আইনমন্ত্রী বক্তব্য দিতে ওঠেন। তিনি রুমিনের উদ্দেশে অনেকটা হাস্যরস করে বলেন, ‘ওয়াই-ফাইয়ের কোড জয় বাংলা। এজন্য উনি (রুমিন) বোধহয় তা ব্যবহার করবেন না।’ আইনমন্ত্রীর এই টিপ্পনীতে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। পরে আইনমন্ত্রী নিজের মুঠোফোনে ফৌজদারি কার্যবিধি বের করে তা পড়ে শোনান।
নদী বন্দর / সিএফ