বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারীদের নির্মূল করার কৌশলসমূহ চিহ্নিত করা হচ্ছে। বন অধিদপ্তরের নেতৃত্বে বন্যপ্রাণী অপরাধ উদঘাটন, শনাক্তকরণ এবং বিচারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে আইন প্রয়োগ শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পরামর্শ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বন অধিদপ্তর এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে সরকারের প্রচেষ্টাকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সবার সহায়তায় বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনের লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, যৌথভাবে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সেক্টরসমূহের মধ্যে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের লক্ষ্যে প্রণীত আইন-কানুন, কর্মসূচি এবং প্রকল্প কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি এসময় বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারীদের নির্মূল করার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধের নেতিবাচক পরিণতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এসব অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমাদের নিজেদের স্বার্থে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে আইন প্রয়োগ শক্তিশালীকরণে করণীয় বিষয়ে ইউএসএআইডি, ইউএনওডিসি এবং এনজিও ব্যুরো-সহ বিভিন্ন সংস্থা এবং মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
নদী বন্দর / জিকে