শেষ হলো জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন। এ অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল নয়টি। আর পাস করা হয়েছে নয়টি বিল। রোববার (২৮ নভেম্বর) অধিবেশন সমাপ্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অধিবেশন শেষের আগে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের বিজয় ও ৩ জানুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণের ভিডিওচিত্র দেখানো হয়।
এর আগে সমাপনী ভাষণ দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
গত ১৪ নভেম্বর শুরু হওয়া অধিবেশন একজন সংসদ সদস্য মারা যাওয়ার কারণে একবার মুলতবি করা হয়। ৭১ বিধিতে ৪২টি নোটিশ পাওয়া যায়। যার মধ্যে আলোচনা হয়নি একটিও। এগুলোর লিখিত জবাবও প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য মোট ৪১টি প্রশ্ন এসেছিল। এর মধ্যে তিনি জবাব দেন ১০টির। অন্য মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন জমা পড়ে এক হাজার ১২টি। তার মধ্যে ৫৬৬টি উত্তর দিয়েছেন তারা। যেগুলো উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়েছে।
ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর দ্য ক্রিয়েটিভ ইকোনোমিকস’ প্রবর্তন করায় সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনা হয়। এটি জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়। প্রস্তাবটি এনেছিলেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বক্তৃতা করেন। এজন্য রাষ্ট্রপতিকে সংসদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান স্পিকার।
তিনি বলেন, এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি তার বক্তব্য রাখেন। এই প্রস্তাবের ওপর ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বিশেষ আলোচনা হয়। তাতে ৫৯ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন। ১০ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের আলোচনা পরে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিতে প্রস্তাব সাধারণ গ্রহণ করা হয়।
নদী বন্দর / সিএফ