রোববার রাতটি পুরোপুরি মিশ্র অনুভূতিতে কেটেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ভক্তদের জন্য। যেখানে ভালো লাগার চেয়ে খারাপ লাগাটাই হয়তো বেশি ছিল। লিওনেল মেসির এসিস্টের হ্যাটট্রিকে দারুণ জয় কিংবা সার্জিও রামোসের পিএসজি অভিষেক- নিঃসন্দেহে ভালো মুহূর্তই ছিল এগুলো।
কিন্তু ম্যাচের মাঝে দলের তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়রের ভয়াবহ এক ইনজুরি নিশ্চিতভাবেই চিন্তার ভাজ ফেলেছে সবার মাঝে। বিশেষ করে ম্যাচ শেষে ক্রাচে ভর করে মাঠ ছাড়ার দৃশ্য দেখে সহজেই অনুমেয়, ভয়াবহ ইনজুরিতেই পড়েছেন নেইমার।
রোববার রাতের ম্যাচটিতে সেইন্ট এতিয়েনকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। ম্যাচের ৭৯ মিনিটের সময় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে স্কোরলাইন হয় ২-১। এর খানিক পরই বাম পায়ের গোড়ালিতে চোট পান ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
এতিয়েনের ডিফেন্ডার ইভান মাকোর ট্যাকল থেকে বাঁচার জন্য লাফ দিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু তার বাম পা পড়ে মাকোর ডান পায়ের ওপর। বেকায়দায় প্রায় বেঁকে যায় নেইমারের গোড়ালি। সঙ্গে সঙ্গে ব্যথায় কান্না শুরু করেন তিনি।
পরে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আর ম্যাচ শেষে ব্যান্ডেজ করা পায়ে ক্রাচে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। খেলার পর পিএসজি কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো সরাসরি বলতে পারেননি কতদিন বাইরে থাকতে হবে নেইমারকে।
তবে ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, অন্তত ছয় সপ্তাহ লাগবে নেইমারের এই ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে। যার মানে দাঁড়ায় পিএসজির সামনের অন্তত ১০ থেকে ১৪টি ম্যাচ খেলতে পারবেন না নেইমার।
ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘দুঃখজনকভাবে, এসব একজন অ্যাথলেটের জীবনের অংশ। এর মধ্যেই মাথা উঁচু করেই থাকতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমি আরও ভালো ও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’
নদী বন্দর / সিএফ