রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন ইসলাম নিহত হওয়ার জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’র নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে। একটি মামলায় চার থেকে পাঁচশো জন, অপর মামলায় আড়াইশো থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা। আর রামপুরা থানায় অপর মামলাটি করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ হোসেন।
দুপুরে দুটি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
হাতিরঝিল থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’ বেআইনিভাবে সমাবেশ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কে চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রলবোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন এবং পথচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করে।
এর আগে মাইনুদ্দিন ইসলামের মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এছাড়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের ওপর আজও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া একরামুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন। এ ঘটনার পর আশপাশের উত্তেজিত জনতা ধাওয়া করে বাসটির চালককে ধরে পিটুনি দেন এবং পুলিশে সোপর্দ করেন।
ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারানোর পর পুলিশ বাসচালক সোহেল রানাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই রাতেই রামপুরায় অন্তত ১২টি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
নদী বন্দর / বিএফ