দিনের খেলা তখনও বাতিলের ঘোষণা আসেনি। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ। তাই ড্রেসিংরুমে বসে না থেকে মধ্যাহ্নভোজ সেরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ছুটলেন শেরে বাংলার ইনডোরে। প্রথমে যারা একাদশের বাইরে ছিলেন, তারা গেলেন। তারপর মূল একাদশেরও প্রায় সবাই একে একে গেলেন ইনডোরে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ৩টা ছুঁইছুঁই। হঠাৎ মাঠের পূর্ব দিকের ইনডোর থেকে মাঠে ঢুকলেন সাকিব আল হাসান। প্রেসবক্স থেকে প্রথমে বোঝা যাচ্ছিল না কে? পরে সবার চোখ আটকে গেলো, আরে এ যে সাকিব! কিন্তু কী করছেন সাকিব? বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ পিচ কভারের ওপর স্লাইড করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
একদম পূর্ব দিকের পিচ কভার থেকে শুরু করলেন, তারপর পুরো শরীর ছেড়ে দিলেন পানি জমে থাকা পিচ কভারের ওপর। ধীরে ধীরে স্লাইড করে চলে গেলেন অন্তত ১৫-২০ গজ। পশ্চিম দিকে কভারের একদম শেষ ভাগে গিয়ে যখন উঠে দাঁড়ালেন, তখন পরিষ্কার বোঝা গেল, সাকিব জলে ভেজা কভারে স্লাইড করলেন দুরন্ত কিশোরের মতো।
পিচের ওপরে জলরাশি দেখেই হয়তো নিজের কৈশোরে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে জেগে উঠলো চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডারের। যেই ভাবা সেই কাজ। মুহুর্তেই ঝাপিয়ে পড়া। তারপর ঠিক যেন পুকুরে এক ডুবে অনেকদূর চলে যাওয়ার মতো পুরো স্লাইড শেষ করলেন একদম কভারের শেষ প্রান্তে।
বৃষ্টিতে সারা দিনে খেলা হয়েছে মোটে ৩৮ বল। বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের পর একটানা ৬.২ ওভার পর সেই যে বন্ধ হলো ম্যাচ, তারপর টানা বৃষ্টিতে আর শুরু হয়নি। বেলা ৩টা নাগাদ দিনের খেলা বাতিলে ঘোষণা এলো। তার আগে সাকিবের মজার কাণ্ড মাঠে উপস্থিত দর্শকদের অন্যরকম আনন্দ দিলো। সাকিব নিজেও তা মনে প্রাণে উপভোগ করলেন।