সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি থামার কোনা লক্ষ্মণই নেই। রাজধানী ঢাকা শহরের অনেক রাস্তাঘাটই পানির তলে তলিয়ে গেছে। একই অবস্থা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেরও। পানিতে ভেজা পুরো মাঠ। সেন্টার উইকেটসহ আশপাশের ৩০ গজ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হলেও, বৃষ্টির কারণে যে আজকের দিনের খেলা আর মাঠে গড়াবে না, তা ছিল অনুমেয়।
শেষ পর্যন্ত দুপুর দু’টার দিকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা বাতিল ঘোষণা করেছেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল।
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে রোববারও সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। মাঝে একটু খেলার উপযোগি পরিবেশ পাওয়ায়, মাত্র ৩৮ বলের খেলা হয়েছিল। এরপর আবার বৃষ্টি এবং আলোর স্বল্পতা। শেষ পর্যন্ত দিনের খেলা বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি।
রোববার বিকাল থেকে টানা বৃষ্টি চলছে। মুষলধারে না হলেও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাটে পানি জমে সয়লাব। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আজই নয় শুধু আগামীকাল মঙ্গলবারও এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারওপর, ঘনকালো মেঘে ঢাকা পুরো আকাশ। যার ফলে আলোর স্বল্পতাও আছে।
সব মিলিয়ে সকাল থেকেই সংশয় ছিল, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা আদৌ মাঠে গড়াতে পারবে কি না। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হলো। খেলা মাঠেই গড়াতে পারলো না। পুরো দিনটাই গেলো বৃষ্টির পেটে।
বৃষ্টি এবং আলোর স্বল্পতার কারণে প্রথম দিন তথা শনিবারও খেলা হয়েছে ৩৩ ওভার কম। ৫৭ ওভারেই খেলা শেষ হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৯টায় খেলা শুরুর কথা থাকলেও বারবার বৃষ্টির কারণে পিছিয়ে যায়। ১১টা ২০ মিনিটে একবার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল খেলা শুরু হওয়ার।
কিন্তু আবার বৃষ্টি নামায় পারা যায়নি। পরে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে খেলা শুরু করা গেলেও মাত্র ৩৮টি বল মাঠে গড়ায়। এরপর আবার বৃষ্টি নামলে সারাদিনের মত খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
এরই মধ্যে অবশ্য নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন পাকিস্তানি ব্যাটার আজহার আলি। আগেরদিন হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন বাবর আজম। বৃষ্টির আগে ৫২ রানে আজহার এবং ৭১ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন বাবর আজম। পাকিস্তানের রান ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৮।
নদী বন্দর / বিএফ