1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
তিনশ ছুঁয়ে ইনিংস ঘোষণা করলো পাকিস্তান - Nadibandar.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৪৫ বার পঠিত

ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু ফাওয়াদ আলম তখনও ৪৮ রানে অপরাজিত থাকায় পেছাতে হয় ইনিংস ঘোষণার ক্ষণ। অবশেষে ৯৯তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে পূরণ হয় ফাওয়াদের ফিফটি ও দলীয় ৩০০ রান।

এরই সঙ্গে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে দেন বাবর। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে তাদের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ঠিক ৩০০ রান। ফাওয়াদ আলম ৫০ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। মিনিট দশেকের মধ্যেই ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ।

বৃষ্টিতে তৃতীয় দিনের পুরোটা পরিত্যক্ত হওয়ার পর আজকের খেলাও শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ৮০ মিনিট পর। যেখানে শুরুতেই দুই সেট ব্যাটার আজহার আলি ও বাবর আজমকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশ দলের দুই পেসার এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ।

এরপর ফাওয়াদ-রিজওয়ানের বিপক্ষেও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন এবাদত-খালেদ-তাইজুল ইসলামরা। কিন্তু কখনও রিভিউ না নেওয়ার হতাশা, আবার কখনও ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া- বারবার বেঁচে যান পাকিস্তানের দুই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি নিয়েই ইনিংস শেষ করেন তারা।

দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৮ রান। তৃতীয় দিন মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। আজ খালেদের অসমাপ্ত ওভার দিয়ে শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। ওভারের বাকি থাকা চার বলে কোনো রান দেননি খালেদ।

পরের ওভারে স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণে আনা হয় আরেক পেসার এবাদতকে। তার ওভারের দ্বিতীয় বলে দিনের প্রথম রান নেন বাবর। পরের বলেই স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান আজহার।

ওভারের শেষ বলে আবার বাউন্ডারির আশায় পুল করেন পাকিস্তানের তিন নম্বর ব্যাটার। কিন্তু বল উঠে যায় আকাশে। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে সহজেই সেটি গ্লাভসবন্দী করেন লিটন। ফলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় ৫৬ রান করা আজহারের।

দুই ওভার পর আরেক সেট ব্যাটার বাবরের বিদায়ঘণ্টা বাজান খালেদ। ইনিংসের ৬৮তম ওভারটিতে অসম বাউন্সে বাবরকে বারবার অস্বস্তিতে ফেলছিলেন খালেদ। ওভারের পঞ্চম বলে তার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি আঘাত হানে বাবরের প্যাডে, আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।

বল লেগস্ট্যাম্প দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে ভেবে রিভিউ নিয়েছিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় লেগস্ট্যাম্পেই আঘাত হানতো বল। তাই বদলায়নি সিদ্ধান্ত, ৭৬ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় বাবরকে। যা কি না খালেদের ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট।

এরপর প্রথম সেশনের বাকি ১৫ ওভারে আর বিপদ ঘটতে দেননি রিজওয়ান ও ফাওয়াদ। অথচ বাবরের বিদায়ের পাঁচ ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন বাঁহাতি ব্যাটার ফাওয়াদ। এবাদতের বলে ফাওয়াদের ব্যাটের নিচের কানায় লেগে জমা পড়ে লিটনের গ্লাভসে।

কিন্তু সেটি যেনো বুঝতেই পারেননি বোলার, উইকেটরক্ষক কিংবা অন্য ফিল্ডাররা। লিটন আলতো আবেদন করলেও সেটিতে কোনো জোর ছিল না, আম্পায়ারও আউট দেননি। আর রিভিউ নেওয়ার কথাও ভাবেননি মুমিনুল। ফলে ১২ রানেই একপ্রকার জীবন পেয়ে যান ফাওয়াদ।

এরপর রিজওয়ানকে প্রায় আউটই করে ফেলেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের ৮০তম ওভারে লেগ বিফোরের আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচান পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিজওয়ান। এর আগে ৭১তম ওভারেও এবাদতের বলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।

দলীয় সংগ্রহটা ২৪২ রানে নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান ফাওয়াদ ও রিজওয়ান। দ্বিতীয় সেশনে ফিরে তুলনামূলক দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগী হন তারা। বোঝাই যাচ্ছিল, ইনিংস ঘোষণার জন্য তাড়া দেওয়া হয়েছে ড্রেসিংরুম থেকে।

যেই ভাবা সেই কাজ, আগের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক খেলে ইনিংসের ৯৪তম ওভারে নিজের ফিফটি তুলে নেন রিজওয়ান। তবে এর আগে ৮৭তম ওভারে এবাদতের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি তাইজুল।

রিজওয়ানের পর পাকিস্তানের অপেক্ষা ছিল ফাওয়াদের ফিফটির। খুব বেশি সময় নেননি তিনি। পাঁচ ওভারের মধ্যেই ৩৭ থেকে পঞ্চাশে পৌঁছে যান, পাকিস্তান অধিনায়কও পেয়ে যান ইনিংস ঘোষণার সুযোগ। বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল নেন ২ উইকেট, এবাদত ও খালেদের শিকার একটি করে উইকেট।

নদী বন্দর / জিকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com