মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় সম্প্রীতির দরকার। ধর্মীয় উসকানি দিয়ে এই সাম্প্রতি নষ্ট করা হচ্ছে। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে সব ধর্মের মানুষ। অথচ ৫০ বছর পরেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি করতে হচ্ছে। ধর্ম পালনে কেউ হস্তক্ষেপ করবে না, এটি দেশের আইনেই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘আন্তার্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, রিসার্চ অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন, হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ।
সভায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর বৈষম্যের মধ্য দিয়েই দেশ পরিচালিত হয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতিহাসকে যারা অস্বীকার করে, তাদের রাজনীতি করার অধিকারই থাকার কথা নয়।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি হলো সংবিধান। সংবিধান যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। যারা মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিকে অবিশ্বাস করে, অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যারা সরকার গঠন করে তাদের হাতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না এটাই স্বাভাবিক।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস বল বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় উসকানিমূলক কাজের মধ্যদিয়ে নানান কর্মকাণ্ড হচ্ছে। নারীদের প্রতিও সহিংসতা দেখা যাচ্ছে। ফলে উচ্চশিক্ষিত নারীরা এখন দেশে থাকতে চাইছেন না।’
সাংবাদিক ও কলামিস্ট সেলিম সামাদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার কথা বলে যখন-তখন আটক করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। গণতন্ত্রকে খর্ব করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ দে বলেন, শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ওপরই নয়, মানবতা লুণ্ঠিত হচ্ছে সব সংখ্যালঘুর ওপরেই। এতে সংখ্যালঘুরাই নয়, একটি দেশও নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। সেই পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই চলছে।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাংবাদিক সেবিকা নারী দাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে