রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রেলভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। এ সময় রেলখাতের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে পুরো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে, নতুন ইঞ্জিন এবং কোচ আনা হচ্ছে, স্টেশনগুলোকে সংস্কার করা হচ্ছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে দিয়েছেন। তখন থেকেই রেলখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনার ভিত্তিতে রেলখাতে উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। সারাদেশকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা যমুনা নদী দ্বারা বিভক্ত। পশ্চিমাঞ্চলে ব্রডগেজ এবং পূর্বাঞ্চলে মিটারগেজ দ্বারা সীমাবদ্ধ। আমরা পুরা রেল ব্যবস্থাকে একটি মাধ্যম অর্থাৎ ব্রডগেজে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সব সিঙ্গেল লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। বিভিন্ন বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সংযুক্ত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার আগে ভারতের সঙ্গে আটটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট ছিল। বর্তমানে পাঁচটি চালু করা হয়েছে, বাকি তিনটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, গত সপ্তাহেই ইউরোপের জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ভ্রমণ করে এসেছি। আমরা ইউরোপের প্রযুক্তি আমাদের রেলওয়েতে কাজে লাগাতে চাই। সুইজারল্যান্ড আমাদের দেশে প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে উভয় দেশ একটি সমঝোতা স্মারক সই করে ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করে এগিয়ে যেতে পারবে।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত সচিব ভূবন চন্দ্র বিশ্বাস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সংস্কৃতি বিষয়ক কাউন্সিলর থমাস বমগার্টনার উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / বিএফ