জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হলের বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি গ্রিনহাউস উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের আওতায় গ্রিন হাউসটি স্থাপন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রকল্প পরিচালক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রেজাউল হক এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মিহির লাল সাহা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং সর্বোপরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো একটি গ্রিন হাউসের স্থাপন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
তিনি বলেন, জীবপ্রযুক্তি প্রয়োগ করে জলবায়ু সহিষ্ণু ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী ফসলের উন্নয়নের প্রাথমিক গবেষণা ও মাঠ পর্যায়ে অবমুক্ত করার আগ পর্যন্ত এ গ্রিনহাউসে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ করা সম্ভব হবে। গ্রিনহাউসের কাঁচের ঘরের ভেতর ফসল উৎপাদনের জন্য তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও আলো ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় সকল উপাদান ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
গ্রিনহাউসের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বছরের যেকোনো সময় যেকোনো চারা উৎপাদন করা যায়, মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না, যা জীবপ্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল উদ্ভাবনের খুবই প্রয়োজনীয়। এর ভেতর সারা বছর ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি উন্নত গুণাগুণ বিশিষ্ট ফসলের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে কৃষিক্ষেত্রে। এ বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মাধ্যমে কৃষিতে ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন অভিযোজন কলাকৌশল রপ্ত করতে হবে। এছাড়া, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জীবপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক চাপ সহনশীল ফসল ফলানো হচ্ছে।
জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানসম্পন্ন অর্থাৎ অধিক খরা ও বন্যা সহনশীল ফসল উদ্ভাবন সম্ভব। গ্রিনহাউস প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্য যোগানে উচ্চফলনশীল ফসল উদ্ভাবন সম্ভব হবে।
নদী বন্দর / বিএফ