নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের জোড়াশিশু লাবিবা-লামিসাকে আলাদা করতে প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে এ অস্ত্রোপচার চলে সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী। তাদের আলাদা করতে পরবর্তী ধাপের অস্ত্রোপচার হবে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পরে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফ-উল হক কাজল এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢামেক হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে সকাল ৮টা থেকে শিশুদুটিকে এনেসথেসিয়া দেওয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। আজকেই আমরা তাদের আলাদা করতে গেলে শিশু লামিসার ক্ষতি হতে পারে। তাদের বড় ধরনের ইনজুরি হতে পারে। এজন্যই আজ তাদের আলাদা করা সম্ভব হয়নি।
অধ্যাপক ডা. আশরাফ-উল হক কাজল আরও জানান, আমরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সিলিকন বল স্থাপন করেছি। এক সপ্তাহ পরপর সেই বল পানি দিয়ে ফুলিয়ে সেখানকার টিস্যুগুলোকে প্রসারিত করা হবে। পরবর্তীতে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পরে আবার অস্ত্রোপচার করে তাদের আলাদা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অস্ত্রোপচারের সব খরচ বহন ও সব ধরনের সহায়তা করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. আশরাফুল আলম ও অন্যান্য চিকিৎসকরা।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপাড়া গ্রামের নির্মাণশ্রমিক মো. লালমিয়া ও মনুফা আক্তার দম্পতির সন্তান জোড়া লাগা এই দুই শিশুকন্যা। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করে তারা। জন্মের নয়দিন পর ঢামেক হাসপাতালে শিশু দুটিকে নিয়ে আসছিল তাদের পরিবার। এরপর থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসা চলছিল। গত ২৮ নভেম্বর ঢামেকের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয় জোড়াশিশুদের। সেই থেকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে আড়াই বছরের লাবিবা ও লামিসা।
নদী বন্দর / জিকে