করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি এই টিকা খুব ভালো। এটি করোনার যেকোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট রোধের ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশ কার্যকরী এবং ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও যথেষ্ট কার্যকরী।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস)-এ টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ টিকা মজুত আছে তাই আমরা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছি। যারা সম্মুখযোদ্ধা তারা আগে আগেই এই টিকা পাবেন। আমাদের সাপ্লাইয়ের কোনো সমস্যা নেই। বরং আমরা যদি টিকা যথাযথভাবে না দেই, সেক্ষেত্রে নতুন যে সাপ্লাই আসার কথা সেগুলো আসতে বিলম্ভ হবে।
প্রবাসীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরু থেকেই প্রবাসীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলাম। কিছু কিছু দেশ বলেছে শুধু সিনোফার্ম হলে হবে না, তারা বলেও দিয়েছে কোন কোন ভ্যাকসিন দিতে হবে। আমরা সেগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন মজুত আছে। সুতরাং আমাদের কোনো ভয় নেই।
ভারত থেকে সিরামের টিকা কখন পাওয়া যাবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের কখনোই বলেনি ভ্যাকসিন দেবে না। সেখানে এই মুহূর্তে করোনা স্থিতিশীল আছে। তারা প্রায়ই বলে, আমরা চাইলে যেকোনো মুহূর্তে টিকা সরবরাহ করবে।
এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্প মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ দেশের প্রবীন ১৭ জন বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়াম হলে ‘বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক।
নদী বন্দর / সিএফ