শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে গিয়ে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের চার বিভাগের ১০ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিন আগে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালের কিছু কিছু জায়গা মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ শুরু করেছে। এ চার বিভাগের ১০টি অঞ্চলে এ শৈত্যপ্রবাহ বইছে।’
আপাতত তাপমাত্রা কমার শঙ্কা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দু-দিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকার পর তাপমাত্রা ফের একটু বাড়বে। আগামী দুদিনে ১০ অঞ্চলের আশপাশের দু’একটি এলাকায়ও শৈত্যপ্রবাহের আওতায় আসতে পারে। তবে, আপাতত শৈত্যপ্রবাহ তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুদিন পর হয়তো শৈত্যপ্রবাহ একেবারে দূর না হয়ে আওতা কমে যেতে পারে। এরপর দু’তিনদিনের বিরতির পর হয়তো আবার তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।’
আগামী দুদিন পর সিলেটের দিকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ থাকলেও সেটি অনেক দূরে। আমাদের এখানে এর কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।’
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নদী বন্দর / বিএফ