ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাজ কি শুধু ময়লা পরিষ্কার, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে কাজ করা? এই নগরের সবার অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। নারী পুরুষ প্রতিটি মানুষই একজন ভোটার। কারও অধিকারই খর্ব করা যাবে না।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কে আয়োজিত ‘সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাক্টিভিজম এগেইনস্ট জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা, নারী-পুরুষ সমতা রুখতে পারে সহিংসতা’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএনসিসি।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেক নারী আমাদের কাছে আসেন। আমাকে তারা এসে বলেন, ‘মেয়র আপনার সঙ্গে আমি একা কথা বলবো।’ তখন তাদের কথা শুনলে চোখ দিয়ে পানি চলে আসে। অনেক নারীকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মাকে ছেলেরা বের করে দিয়েছে। স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয়েছে৷ এসব কথা আমরা প্রকাশও করতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সময় এসেছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশের এই রাজধানীকে গড়ার। ঢাকা উত্তর সিটি মনে করে, সবারই অধিকার সমান। সবার অধিকার রক্ষা করতে হবে।
নারীদের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা দুইজন ট্রান্সজেন্ডার নারীকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। রামপুরায় নিহত মাইনুদ্দিনের মায়ের ইচ্ছা, তার আরেক ছেলে (মাইনুদ্দিনের বড়ভাই) একটা সরকারি চাকরি করবে। আমরা তাকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমাদের হেলথ কেয়ারে সব ধরনের জনগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা ডিএনসিসি মার্কেটকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তরিত করেছি। একজন রোগীও সেখানে কোনো অভিযোগ দিতে পারেননি।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে অনেকেই বলেন আমি নগর পিতা। কিন্তু আমি নগরের একজন সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি কখনোই নিজের চেয়ারটাকে উঁচু দেখতে চাইনি। আমি সবসময় চেয়েছি সেবক হয়ে থাকতে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান। এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / পিকে