সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হাজতে ছিলেন, জেলে নয়। এইখানে (রাজবন্দীর জবানবন্দী) নজরুল সৃষ্টিকর্তাকে নিজের বিচারক হিসেবে ধরেছেন। এ লেখায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আকুতি ফুটে উঠেছে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কাজী নজরুল ইসলামের রচনা অবলম্বনে বাঁশরী প্রযোজিত ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ ডকুফিল্মের প্রিমিয়ার শো উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কে এম খালিদ বলেন, নজরুল বলেছেন- ‘আমার বিচার যখন তোমরা করবে এবং আমার বিপক্ষে যে বিচারক থাকবেন তারতো স্বার্থ, লোভ-লালসা থাকবে। কিন্তু আমার পক্ষের বিচারক যে সৃষ্টিকর্তা আছেন তিনি হলেন নিঃস্বার্থ।’
এসময় প্রতিমন্ত্রী সেলুলয়েড ফিতা দিয়ে ছবি তোলার কথা স্বরণ করেন বলেন, আজকাল মানুষ সারাদিন অনেক ছবি তোলেন। তারমধ্যে যেগুলো পছন্দ হয় না সেগুলো ডিলিট করে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন বলেন, নজরুল সবসময় সত্যের পথে ছিলেন। স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য তিনি অনেক গান ও কবিতা রচনা করে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন। ‘ধূমকেতু’ যখন নিষিদ্ধ হয় তখন ১১ বছরের বালিকা লিরার লেখাও নিষিদ্ধ করা হয়। কবি তখন লিরাকে সাধুবাদ জানান। ধূমকেতু পত্রিকা ছাপার পরে নজরুল বলেছেন- ‘আমি বেআইনি কাজ করেছি স্বীকার করেছি, কিন্তু আমি অন্যায় করিনি।’ তিনি বলেন, নজরুল এক রাজার বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন- ‘শুধু প্রজারাই হয় কেন রাজদ্রোহী, অন্যায় করেও রাজারা হয় না কেন রাজদ্রোহী।’
বক্তব্য শেষে ডকুফিল্মের প্রিমিয়ার শো দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবির নাতনি খিলখিল কাজী এবং বিশিষ্ট লেখক ও চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ।
নদী বন্দর / এমকে