কক্সবাজারে পর্যটক এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের মূলহোতা মো. আশিকুল ইসলাম ওরফে টর্নেডো আশিক। এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ৩০-৩৫ জন। ২০১২ সাল থেকে কক্সবাজার পর্যটক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন আশিক। প্রথম ২০১৪ সালে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
আশিকের সিন্ডিকেট পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, জিম্মি, চাঁদাবাজি, জবরদখল, ডাকাতি ও মাদককারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আশিক পর্যটন এলাকায় বিভিন্ন হোটেলে ম্যানেজারের সঙ্গে যোগসাজসে ট্যুরিস্টদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন। কক্সবাজারে আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন জবরদখল ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। পর্যটন এলাকার সুগন্ধা নামক স্থানে ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট জোরপূর্বক কম টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে ক্ষেত্রে বিশেষে দ্বিগুণ ও তিনগুণ ভাড়া সংগ্রহ করে মূল মালিকদের বঞ্চিত করতেন।
র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, গ্রেফতার আশিক বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অবৈধ দখল করেও চাঁদা দাবি করতেন। তার চক্রের সদস্যরা রাত্রিকালীন সি-বিচে আগত ট্যুরিস্টদের হেনস্তা, মোবাইল ছিনতাই, ফাঁদে ফেলা ও নিয়মিত ইভটিজিং করতেন।
তার নামে এরই মধ্যে কক্সবাজার সদর থানায় অস্ত্র, মাদক, নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজিসহ ১২টি মামলা চলমান রয়েছে। ইতোপূর্বে আশিক পাঁচবার পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয় ও দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছে।