হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের কিংবদন্তি টেস্ট ব্যাটার মোহাম্মদ ইউসুফের রেকর্ড। এক পঞ্জিকাবর্ষে সাদা পোশাকে ১৭৮৮ রান করেছিলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। এবার সেটাকে ভেঙ্গে দেয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট।
কিন্তু চলতি অ্যাশেজের প্রথম তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে নিজের নামের প্রতি তেমন সুবিচার করতে পারেননি রুট। যে কারণে আর মোহাম্মদ ইউসুফের রেকর্ডটি আর ভাঙতে পারলেন না তিনি। এমনকি পেছনে ফেলতে পারলেন না আরেক কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডসকেও।
২০২১ সালটা রুট শেষ করেছেন ১৭০৮ রান নিয়ে। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিভ রিচার্ডসের চেয়ে ২ রান কম করলেন রুট। রিচার্ডস ১৯৭৬ সালে ১১ টেস্টে ১৯ ইনিংস খেলে ৯০.০০ গড়ে করেছিলেন ১৭১০ রান। সেঞ্চুরি করেছিলেন ৭টি, হাফ সেঞ্চুরি ৫টি।
২০০৬ সালে পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ ভেঙে দেন ভিভ রিচার্ডসের রেকর্ড। তিনিও ১১ টেস্টে ১৯ ইনিংস খেলেন। রান করেছেন ১৭৮৮। সেঞ্চুরি করেন ৯টি এবং ৩টি করেন হাফ সেঞ্চুরি। সে বছর ইউসুফের গড় ছিল ৯৯.৩৩।
শেষ হতে চলা ২০২১ সালে জো রুট খেলেন ১৫ টেস্ট। ইনিংস ২৯টি। ৬১.০০ গড়ে তিনি রান করলেন ১৭০৮। সেঞ্চুরি করেছেন ৬টি এবং হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৪টি। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ করেছিলেন ১৬৫৬ রান।
মেলবোর্ন টেস্টে আজ দ্বিতীয় ইনিংসে জো রুট আউট হন ২৮ রানে। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন তিনি ৫০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর বড় করতে না পারার কারণেই মোহাম্মদ ইউসুফের চেয়ে ৮০ রান কম হলো রুটের।
ইউসুফ-ভিভের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও সুনিল গাভাস্কার, শ্চীন টেন্ডুলকার ও গ্রায়েম স্মিথদের মতো কিংবদন্তি তারকাদের পেছনে ফেলেছেন রুট। কিন্তু অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা বেড়েই চলেছে রুটের। যদিও সেঞ্চুরির অপেক্ষার ঘটাতে এখনো দুই টেস্ট পাচ্ছেন ইংল্যান্ড দলনায়ক।
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৮৯ রান। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬২, দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২৪ রান এবং তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২৮ রান।
নদী বন্দর / জিকে