1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সাংবাদিকতাকেই প্রাধান্য দিতেন রিয়াজ উদ্দিন - Nadibandar.com
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৩৫ বার পঠিত

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন পেশাদার সাংবাদিক। পেশাগত জীবনে তিনি সবকিছুকে ছাপিয়ে সাংবাদিকতাকেই প্রাধান্য দিতেন।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ স্মরণে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব যৌথ আয়োজিত স্মরণ সভায় এ কথা বলেন বক্তারা। স্মরণ সভায় সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের স্মৃতিচারণ করেন।

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, রিয়াজ উদ্দিন একজন আপাদমস্তক সাংবাদিক ছিলেন। তিনি ছিলেন সাংবাদিকদের বন্ধু। দলমত নির্বিশেষে সবার কথা বলতেন। তিনি প্রেস ক্লাবের চারবারের সভাপতি ছিলেন। সাংবাদিক সংগঠন বিএফইউজে দুইভাগ হলেও তিনি কখনো দলকে প্রাধান্য দিতেন না, সাংবাদিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন।

ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী বলেন, আমি আর রিয়াজ ভাই একই সঙ্গে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম। আমরা পাকিস্তান অবজারভারে কাজ করেছি। দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি একটি ধারায় চলে গেছেন। এক সময় ঐক্যবদ্ধ পতাকার তলে আমরা কাজ করতাম। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে সাংবাদিক ইউনিয়নের ঐক্যবদ্ধ পতাকা পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা তাদের ধরে রাখতে পারিনি। ১৯৯২ সালে আমরা বিভক্ত হয়ে গেলাম। একটি হলো মুক্তিযুদ্ধ চেতনার। আরেকটি জাতীয়তাবাদী। এরপর আমরা কিছু বিষয়ে এক হয়েছি। তিনি সাংবাদিক ছিলেন এবং সাংবাদিক হিসেবেই মৃত্যুবরণ করেছেন।

সাংবাদিক মনজুরুল হাসান বুলবুল বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একাধারে ভালো মানুষ, ভালো মানের সাংবাদিক, ভালো নেতা। তিনি শুধু পেশাগত দিকই খেয়াল রাখতেন না, ব্যক্তিগত পারিবারিক বিষয়ে সাংবাদিকদের খোঁজ নিতেন। কোনো সংকটে রিয়াজউদ্দিন থাকলে আমরা জানতাম এর সমাধান হবে।

সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তিনি সাংবাদিকতার সব কিছু অর্জন করেছেন। তিনি প্রতিবেদক থেকে সম্পাদক হয়েছেন। উচ্চ স্লোগান না দিয়েও কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, আমরা তার থেকে শিখেছি। তিনি পেশাগত মূল্যবোধ ধারণ করতেন। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পেশার ওপরে কখনোই দলীয় রাজনীতিকে গুরুত্ব দেননি।

যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করেছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকতে পারে, কিন্তু তিনি পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করেছেন। তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তিনি বিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের অবিভক্ত মানুষ ছিলেন। মতানৈক্য থাকতে পারে কিন্তু তাতে দূরত্ব বাড়ে না, এটা তিনি তার আচরণ ও কর্মে প্রমাণ করেছেন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে কথা বলার মতো সাহসী মানুষ ছিলেন তিনি।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা পারভীন বলেন, আমরা একে একে অভিভাবকশূন্য হয়ে যাচ্ছি। রিয়াজ উদ্দিন ভাই শুধু একজন খ্যাতিমান সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক ছিলেন। কিছুদিন আগেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, রিয়াজ ভাইকে আমরা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য করবো।

তিনি বলেন, যার সঙ্গেই দেখা হচ্ছে, সবাই সবাইকে বলছি সাবধানে থাকবেন। সবাই এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে আছি। যখন আমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হন, তখন আমরা খুবই ভয়ে থাকি। কখন কে হারিয়ে যায়।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মাসরুর রিয়াজ বলেন, বাবা সব সময় আমাদের আদর্শিক একটা চেতনায় বড় করেছেন। সৎ পথে চলা, মানুষকে ভালোবাসা শিক্ষা দিতেন। তিনি পরিবার এবং সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সমানভাবে দেখতেন। বরং সংবাদকর্মীদের প্রতি বেশি উদার ছিলেন।

আগামী ৩ জানুয়ারি সকালে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ স্মরণে ‘স্মরণসভা’ করবে জাতীয় প্রেস ক্লাব।

নদী বন্দর / সিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com