পৌষের মাঝামাঝি পেরোতেই ঢাকাসহ সারাদেশে শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ নেই দেশের কোথাও। তাই তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে গিয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছীতে। ঢাকায় রোববার (২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থাকলেও সোমবার সকালে তা কমে হয়েছে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার ১১ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রয়েছে বদলগাছী ছাড়াও তিনটি স্টেশনে। এরমধ্যে শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৮, ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ৫ ও দিনাজপুরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কোথাও ১০ ডিগ্রির নিচে না নামলেও শীতের তীব্রতা রয়েছে। রোববার দিনগত রাতে শীতে কেঁপেছেন নগরবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকো মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘আগামী তিনদিনেও রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। এতে কোন কোন অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এরই মধ্যে জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এ মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, এরমধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।
নদী বন্দর / পিকে