রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গত রোববার (২ জানুয়ারি) রাতে ‘অজ্ঞান পার্টির’ খপ্পরে পড়েন মোকসেদ আলী মণ্ডল (৭০) ও তার স্ত্রী জীবন নেসা (৬০)। অচেতন অবস্থায় ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান মোকসেদ আলী মণ্ডল। তবে তার স্ত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
মোকসেদ আলী মণ্ডল রাজধানীর রামপুরায় একটি আবাসিক ভবনের সিকিউরিটি গার্ড ছিলেন। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের মৃত আব্দুল খলিল মণ্ডলের ছেলে। তার পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
নিহতের ছেলে সোহরাব মণ্ডল জানান, তার বাবা রামপুরার একটি আবাসিক ভবনে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রোববার (২ জানুয়ারি) তিনি ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। আগেই টিকিট কেনা নির্ধারিত ট্রেনের অপেক্ষায় তার বাবা-মা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৯ নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় দু-তিনজন যুবক এসে তার বাবা-মাকে চাচা-চাচি সম্বোধন করে বিস্কুট খেতে দেন।
তিনি আরও জানান, বিস্কুট খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তার বাবা মোকসেদ আলী ও মা জীবন নেসা অচেতন হয়ে পড়েন। এসময় তাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা অন্যান্য জিনিস নিয়ে সরে পড়েন ওই যুবকরা। পরে স্টেশন থেকে ইমরান হোসেন নামে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে তারা বাবা মারা যান।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মোকসেদ আলী ও তার স্ত্রী জীবন নেসা অচেতন অবস্থায় ঢামেকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জীবন নেসা সুস্থ হলেও মোকসেদ আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। তিনি আজ দুপুরে মারা গেছেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে থানাকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
নদী বন্দর / এমকে