নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মিথ্যাচার করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ইসি নিয়ে কথা বলেন বলেও দাবি করেন সিইসি।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভোটার তালিকায় পিতা-মাতা পরিচয়হীনদের তালিকাভুক্তির সমস্যা ও করণীয়-বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে গতকাল ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যবেক্ষণ শেষে মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই। এছাড়া তিনি নিজেদের দায় স্বীকারমূলক মন্তব্যও করেন।
বিষয়টি নিয়ে সিইসির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি তো এ রকম সব সময় বলেন। একেক সময় একেক শব্দচয়ন করেন, মিডিয়ায় প্রচার করার জন্য। এই কথাগুলো অপ্রাসঙ্গিক কথা। অপ্রচারমূলক কথা। নির্বাচন কমিশনকে অপবাদ দেওয়া কথা।’
‘ভোটযুদ্ধ আছে, ভোট নেই, তাহলে ৭৫ শতাংশ ভোটার কোত্থেকে আসে? টেলিভিশনে দেখিয়েছেন সারিবদ্ধভাবে নারী-পুরুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। তাহলে এরা কারা? এরা কী ভোটার নন? সুতরাং উনার কথার কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘উনি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বলেন। হয়তো উনার কোনো এজেন্ডা আছে, সেটা বাস্তবায়নের জন্য, নির্বাচন কমিশনকে হেয় করার জন্য এই কথা বারবার বলেন। এই কথাটা মিথ্যাচার, অপ্রাসঙ্গিক, অপবাদ। উনি মিথ্যা কথা বলেন।’
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা ও মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। দায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। সহিংস ঘটনাগুলো ঘটেছে কেন্দ্রের বাইরে। আমরা তাদের বারবার বলি সহনশীল হতে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের জন্য মর্মাহত। এগুলো অপ্রত্যাশিত। আমরা এগুলো চাই না। প্রার্থীদের আমরা বারবার অনুরোধ করি, নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতামূলক, প্রতিহিংসাপরায়ণ নয়, রক্তপাত নয়।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে সহিংসতা হচ্ছে। পুলিশও অনেক সময় ভিকটিম হচ্ছে, আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। প্রচুর ধৈর্য সহকারে তারা দায়িত্বপালন করেন।’
নদী বন্দর / সিএফ