রাজধানীর বাংলামোটরের রাহাত টাওয়ারের (যমুনা টেলিভিশনের বাংলামোটর সেন্টার) ১১ তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। হতাহতেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে বেলা ১১টা ৪ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাশেদ বিন খালিদ জানান, বাংলামোটরের ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এর আগে সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে আরও দুটি ইউনিট বাড়ানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, বেলা ১১টা ৪ মিনিটে বাংলামোটরের রাহাত টাওয়ার নামের ভবনের ১১ তলায় আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। দ্রুত সেখানে পৌঁছে ১১টা ১০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।
দুই দফায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট বাড়িয়ে ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, আগুন নির্বাপণে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপা. ও মেইন.) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান।
লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, বেলা ১১টা ৪ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৪ মিনিট পরই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে চলে আসে। ভবনের ১১ তলায় যমুনা টেলিভিশনের অফিসে আগুন লাগে। বেলা সাড়ে ১২টায় ১১ ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে জিল্লুর রহমান বলেন, আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে শর্টসার্কিট বা এসি থেকে আগুন লাগতে পারে।
ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন, আগুন লেগেছে ভবনটির ১১ তলায়। আর ওখানে যমুনা টেলিভিশনের অফিস রয়েছে। যমুনা টেলিভিশন সূত্র জানিয়েছে, তাদের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। এছাড়া আসবাবপত্রসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানা যাবে।
জানা যায়, রাহাত টাওয়ারের ১১ তলায় যমুনা টেলিভিশনের অফিসে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে অফিসে থাকা কর্মীরা দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে কয়েকটি ফার্মেসীসহ বিজয় টেলিভিশনেরও অফিস রয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে