ঢাকা ওয়াসা শতভাগ পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ঢাকাবাসীকে মানসম্পন্ন পানি সরবরাহে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে ৬০ শতাংশ পানি সরবরাহ করতে সক্ষম ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে পানির মান উন্নয়ন এবং সরবরাহ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ফেজ-১ ও ২ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সায়েদাবাদ ফেজ-৩ এর নির্মাণ কাজ।
ঢাকা ওয়াসা নগরবাসীর চাহিদার অতিরিক্ত পানি সরবরাহ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জানান মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং খুলনাতেও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনসহ সারাদেশের মানুষের পানির চাহিদা পূরণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
পানি সরবরাহের জন্য স্থাপিত পাইপ লাইনগুলো অনেক পুরনো এবং অধিকাংশ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেগুলো পরিবর্তন করে উন্নতমানের পাইপ বসানো হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
ওয়াসাতে অনেক অভিযোগ আসে। সেসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তা সমাধানে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন মো. তাজুল ইসলাম।
চলতি বছরের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গত একযুগে আমাদের গড় আয় ম্যাজিকের মতো বেড়েছে। কারণ দেশের নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমাদের আয় ছিল ৭০০ ডলার নিচে। গত এক যুগে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৫৪ ডলারে। চলতি বছরের মধ্যে তিন হাজার ডলারে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষিসহ সব খাতকে সমান প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে। উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের লক্ষ্য ঠিক করেছেন। ইতোমধ্যে খাদ্য ঘাটতি ও শতভাগ বিদুৎতায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পৌঁছানো সম্ভব।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম।
নদী বন্দর / জিকে