সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমরা যেভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলাম, সেভাবে সম্মান পাইনি।’
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রয়াত দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত ও লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) আনোয়ার উল আলম শহীদ স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কে এম সফিউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের এমনভাবে উদ্বুদ্ধ করে, আমরা দেশের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। তখনই আমরা যুদ্ধের জন্য ঝাপিয়ে পড়ি।’
তিনি বলেন, ‘সি আর দত্তের পাকিস্তানে পোস্টিং ছিল। যুদ্ধের সময় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি। তখন তিনি আমাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। তেমনি আবু ওসমান চৌধুরী চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।’
এ সময় সরকারের কাছে তিনটি প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীর ঐতিহাসিক সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। মুক্তিযুদ্ধের ১১টি যুদ্ধ অঞ্চলে সরকারি উদ্যােগে একটি করে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণের স্বার্থে সেক্টর কমান্ডার ও কিংবদন্তী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তকরণ।
স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সাব-সেক্টর কমান্ডার হারুনুর রশীদ বীর প্রতীক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যকরী সভাপতি নুরুল আলম, সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী, জেনারেল সেক্রেটারি হারুন আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
নদী বন্দর / জিকে