আগের চার ম্যাচে তার ইনিংসগুলো ছিল যথাক্রমে ৫, ১৭, ৬ ও ৭* রানের। অবশেষে পঞ্চম ম্যাচে এসে রানের দেখা পেলেন মোহাম্মদ মিঠুন, ঝড় তুললেন খুলনা টাইগার্সের বোলারদের ওপর। পাশাপাশি রান পেয়েছেন সিলেট সানরাইজার্সের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪২ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সিলেট। ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটিতে ৭২ রান করেছেন মিঠুন। মোসাদ্দেক সৈকতের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান।
খুলনার আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা যাচ্ছেতাই ছিল সিলেটের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে সাজঘরে ফিরে যান ১০ বলে ৪ রান করা এনামুল হক বিজয়। আরেক ওভারে লেন্ডল সিমন্স আউট হন সপ্তম ওভারে। তিনি ৬ রান করতে খেলেন ১৯টি বল।
ইনিংসের নবম ওভারের প্রথম বলে আরেক বিদেশি কলিন ইনগ্রামকে প্যালিভিয়নে ফেরত পাঠান নাবিল সামাদ। নয় ওভার শেষে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৪ রান। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে বিপদমুক্ত করেন মিঠুন ও সৈকত।
এ দুজনের জুটিতে ৮.২ ওভারে ৬৮ রান পায় সিলেট। দলকে একশ রান পার করিয়ে ইনিংসের ১৭তম ওভারে আউট হন ৩০ বলে ৩৪ রান করা সৈকত। তবে থেমে যাননি মিঠুন। থিসারা পেরেরার এক ওভারে হাঁকান জোড়া ছক্কা, কামরুল রাব্বির ওভারে মারেন তিনটি চার।
ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি করতে ৪১ বল খেলেন মিঠুন। যেখানে ছিল তিনটি করে চার ও ছয়ের মার। পঞ্চাশ করার পর খোলা তরবারি হয়ে যায় মিঠুনের ব্যাট। যেখানে ৯ বলেই হাঁকান তিন চার ও এক ছক্কা। সবমিলিয়ে ৫১ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ের ৭২ রান করে আউট হন তিনি।
দলের ইনিংসের একদম শেষ বলে প্রথম স্ট্রাইক পেয়েই ছক্কা হাঁকান নাদিফ চৌধুরী। যার সুবাদে ১৪০ পেরোয় সিলেটের সংগ্রহ।
খুলনার পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় ২ উইকেট নেন খালেদ। এছাড়া কামরুল রাব্বি, নাবিল সামাদ ও সৌম্য সরকারের শিকার ১টি করে উইকেট।
নদী বন্দর / সিএফ