1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
পড়াশোনার পাশাপাশি মৌচাষে ব্যস্ত নাহিদ - Nadibandar.com
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৭৩ বার পঠিত

ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্ত ঘেঁষা হরিপুর উপজেলার বকুড়াল গ্রামের ফয়সাল আহমেদ নাহিদ। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি মৌচাষের জন্য খামার করে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এই খামারে নাহিদ এখন দেখছেন ব্যাপক সম্ভাবনা।

নাহিদের গড়ে তোলা মৌ খামারে এক বছরেই মধু উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ গুণ। তার উৎপাদিত মধু কিনতে প্রতিদিন বাড়িতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। আবার কুরিয়ারের মাধ্যমে তার মধু কিনতে বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা যোগাযোগ করছেন। তার উৎপাদিত মধু প্রতি কেজি ৪০০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে নাহিদ জানান, তার বাবা মারা যাওয়ার পর নিজ গ্রামে গতবছর লকডাউনে মৌমাছি পালন শুরু করেন। এর আগে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মৌ খামারের উপর।

 

নাহিদের টিউশনি করে জমানো ৭ হাজার টাকায় কেনা দুটি মৌমাছির বাক্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও এখন তার রয়েছে ১০টিরও বেশি মৌ বাক্স। যা থেকে প্রতি মৌসুমে প্রতিটি বাক্স থেকে ৮-১০ হাজার টাকার মধু সংগ্রহ করেন তিনি। গ্রামের সরিষা ক্ষেত, লিচুর মুকুল ও কুমড়া ক্ষেত থেকে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করেন নাহিদ।

মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে নাহিদ বলেন, মৌ বাক্স ফসলের মাঠে রেখে দেই। দিনের বেলা মৌমাছিগুলো ফুল থেকে নেকটার (ফুলের রস) সংগ্রহ করে এবং প্রসেসিং এর মাধ্যমে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মধুতে পরিণত করে। নেকটার সংগ্রহের সময় তাতে পানির পরিমাণ থাকে ৫০-৬০ ভাগ। পরবর্তীতে সেটা সম্পূর্ণ হাতে স্পর্শ ছাড়া মধু সংগ্রহের মেশিন দিয়ে সংগ্রহ করতে হয়। মেশিনে সংগ্রহের ফলে মৌচাক কিংবা বাচ্চা কিছুই নষ্ট হয় না।

 

তিনি বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি মৌচাষের খামার শুরু করেছি। শুরুটা শখের বশে হলেও আশা করছি আমি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারবো। এখন আমার লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি পরিবারকেও অর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারছি। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যার শুরুটা মূলত এখান থেকেই করেছি। আমি প্রত্যাশা করি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমার স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।

মধু ক্রেতা ডা. আনসারুল ইসলাম বলেন, বাজারে খুব একটা খাঁটি মধু মেলে না। নাহিদের কাছে খুব সহজেই খাঁটি মধু পাই। আমি নিয়মিত তার খামার থেকে মধু কিনছি।

 

স্থানীয় বাসিন্দা জানে আলম বলেন, নাহিদের মৌ খামারটি বেশ আলোচিত উপজেলায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি তার এই মৌ খামার তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী।

এই বিষয়ে কথা হয় হরিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নইমুল হুদার সঙ্গে। তিনি বলেন, মৌ খামার একটি দারুণ উদ্যোগ। এতে পরাগায়ন ঘটে এবং ফসলের ফলন ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ভালো ফলনের জন্য আমরা কৃষককে ফসলের মাঠে দুটি করে মৌ বাক্স রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকি।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com