নরসিংদীর বালুসাইর এলাকায় জুয়া খেলতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী। হত্যার পর বাড়ির অদূরে একটি ইটভাটার পাশে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে পরিত্যক্ত ইটভাটার পাশের জমি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আছিয়া (২৮) মাধবদীর বালুসাইর গ্রামের ফজর আলীর স্ত্রী। তিনি মাধবদীর একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, আসিয়া প্রতিদিনের মতো কারখানার কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে স্বামী ফজর আলীর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে আছিয়াকে মারপিট শুরু করেন। পরে লোহার রড দিয়ে তার মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকেন। এতে তার মাথার মগজ বেরিয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় তার সন্তানরা তাকে বাধা দিতে গেলে তাদেরকেউ মারধর করেন ফজর। পরে গভীর রাতে মরদেহ পরিত্যাক্ত সানি ইট ভাটার পাশের জমিতে ফেলে দেন।
সকাল ১০টার দিকে ইট ভাটার পাশে এক নারীর মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই পাষণ্ড স্বামী পলাতক। নিহত আছিয়ার ৩ সন্তান রয়েছে।
নিহতের ছেলে রাজিব জানায়, রাতে মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় রড দিয়ে মাকে পিটিয়ে মারে বাবা।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, নিহতের স্বামী কাজকর্ম করতো না। সারাদিন জুয়ার আড্ডায় মেতে থাকতো। এনিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। এরই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। বাকি বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নদী বন্দর / সিএফ