টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যার পানিতে অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে সুনামগঞ্জের নদ- নদীর পানি বিপৎসীমায় ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বন্যা কবলিত পানিবন্দি মানুষ জানান, পানি বাড়তে থাকলে আমাদেরও দুর্ভোগ বাড়তে থাকবে। ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে আছি। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় কোনো কাজ-কাম করতে পারছি না।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাঁচ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ মেট্রিক টন চাল ও প্রতিটি উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় সাত হাজার পরিবার বন্যার দুর্ভোগে পড়েছে। দুই উপজেলায় ১৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ৫টি উপজেলায় ২৮টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বন্যার্ত মানুষের পাশে আছি। যে সকল উপজেলায় মানুষ পানিবন্দি আছেন তাদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএফ