1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারের তালিকায় ২ স্থাপত্য - Nadibandar.com
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২
  • ৭৭ বার পঠিত

আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪৬৩টি স্থাপত্য থেকে ২০টি স্থাপত্যের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

১০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যমানের এই পুরস্কারের জন্য লড়বে সংক্ষিপ্ত তালিকার প্রকল্পগুলো। এতে বাংলাদেশের দুটি স্থাপত্য স্থান পেয়েছে।

স্থাপত্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে আগা খান অ্যাওয়ার্ড অত্যন্ত সম্মানজনক। ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি তিন বছর পর পর সমকালীন নকশা, সামাজিক গৃহায়ণ, সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারের বাছাই পদ্ধতি অন্যান্য স্থাপত্য পুরস্কারের বাছাই পদ্ধতি থেকে একটু ভিন্ন। শুধু স্থাপত্যের নান্দনিক দিকই নয়, সার্বিকভাবে জীবনের গুণগত মানোন্নয়নের দিকেও খেয়াল রাখা হয়। স্থাপনা বা ব্যক্তির পাশাপাশি এটি স্থাপত্য, সম্প্রদায় ও এর অংশীদারদেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১২১টি স্থাপত্য পুরস্কৃত দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ১০ হাজার ভবনের স্থাপত্য নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এবার বাংলাদেশ থেকে যে দুটি স্থাপত্য স্থান পেয়েছে সেগুলো হলো- কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে নির্মিত কমিউনিটি স্পেস ও ঝিনাইদহের আরবান রিভার স্পেস।

রোহিঙ্গা শিবিরের কমিউনিটি স্পেসের স্থপতি রিজভী হাসান, খাজা ফাতমী ও সাদ বিন মোস্তফা। তিনজনই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন ২০১৭ সালে।

এর মধ্যে স্থপতি রিজভী হাসান ২০২০ সালে জাতিসংঘের ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন পাশাপাশি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার কাজ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’।

কমিউনিটি স্পেসের নকশার বিষয়ে খাজা ফাতমী বলেন, ‘গত্বাঁধা কোনো ভবন নয়, বরং এমনভাবে কাজটা করতে চেয়েছি যাতে পুরো জনগোষ্ঠীর উপকার হয়। বাঁশ, শন, গোলপাতা, বেতের মতো স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা পরিবেশবান্ধব কাঁচামাল ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে টেকসই এই স্থাপনা।

ঝিনাইদহের আরবান রিভার স্পেসের স্থপতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কো-ক্রিয়েশন আর্কিটেক্টসের প্রধান খন্দকার হাসিবুল কবির এবং সুহাইলী ফারজানা। তারা ঝিনাইদহ শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে হাঁটার রাস্তা, আড্ডা ও সংস্কৃতিচর্চার জায়গা তৈরি করেছেন। এটা পুরো এলাকার চিত্র বদলে দিয়েছে।

নদী বন্দর/এসএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com